ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশের আগেই বিমানবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ওই হামলা চালানো হয়।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নীতি অনুসারে ইসরায়েলে কোনো বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন সক্রিয় করা হয়নি।
সামরিক বাহিনী এই ঘটনা সম্পর্কে আর কোনো তথ্যও দেয়নি। ক্ষেপণাস্ত্রের ধরণ, এটি কতদূর পর্যন্ত আসতে সক্ষম হয়েছে বা এটি কোন এলাকায় ধ্বংস করা হয়েছে এসব বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। এছাড়া এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না সেটাও নিশ্চিত নয়।
এদিকে সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের একের পর এক শহর দখলকে কেন্দ্র করে সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে ইসরায়েল। বলা হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশটির গৃহযুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোলান মালভূমিতে সেনার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
অপরদিকে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি জানায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি ও প্রমাণাদি বিশ্লেষণ এবং কয়েক মাসের তদন্ত ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিবৃতি বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে উল্লিখিত আইনি সংজ্ঞা অনুযায়ী গাজায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে দাবি করেছে তারা।
অ্যামনেস্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের নিষিদ্ধ পাঁচটি কাজের মধ্যে অন্তত তিনটি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের জীবনযাত্রাকে মানবেতর করে তুলেছে।
- আরও পড়ুন:
- গাজায় শরণার্থী শিবির-হাসপাতালে হামলায় নিহত আরও প্রায় ৫০
- গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: অ্যামনেস্টি
- গাজার ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলি হামলা, ‘পুড়ে ছাই’ নারী-শিশুসহ ২০ জন
সংস্থাটির সেক্রেটারি-জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, মাসের পর মাস, ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদেরকে মানবাধিকার এবং মর্যাদার অযোগ্য একটি অবমানবিক গোষ্ঠী হিসাবে আচরণ করেছে, তাদের শারীরিকভাবে ধ্বংস করার অভিপ্রায় দেখিয়েছে।
টিটিএন