ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িবহরে হামলা, নিহত ৪১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৪৫ এএম, ২২ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে। হামলায় আরও ১৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা।

বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে প্রায় ২০০ জন যাত্রীবাহী গাড়ির একটি বহর আফগান সীমান্তসংলগ্ন খুররাম জেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় সশস্ত্র হামলাকারীরা পুলিশের নিরাপত্তা বহরকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি চালায়। তারপর তারা পুরো বহরের দিকে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।

বিবিসি উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৈয়দা বানু নামে এক যাত্রী জানান, হামলার সময় তিনি তার সন্তানদের নিয়ে গাড়ির আসনের নিচে লুকিয়ে প্রাণে বাঁচেন। গুলির শব্দ থেমে যাওয়ার পর তিনি রাস্তায় আহত ও নিহত মানুষদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেন।

আরও পড়ুন>>

খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রধান সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী এই হামলাকে একটি ‘বড় ট্র্যাজেডি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

অঞ্চলের উপ-পুলিশ কমিশনার জাভেদ উল্লাহ মেহসুদ জানান, হামলায় প্রায় ১০ জন বন্দুকধারী জড়িত ছিল। তারা রাস্তার দুই পাশ থেকে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। হামলার পর পুলিশ এবং স্থানীয়রা নারীদের কাছকাছি বাড়িগুলোতে আশ্রয় নিতে সহায়তা করে। হামলাকারীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চলছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহতদের বেশিরভাগই শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে খুররাম এলাকায় শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে বহু প্রাণহানি হয়েছে। গত মাসেও এই অঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বহরে হামলায় ১৫ জন নিহত হন।

অঞ্চলের সড়কটি সম্প্রতি আবার খুলে দেওয়া হলেও কেবল পুলিশের নিরাপত্তা সহযোগিতায় যাতায়াতের অনুমতি ছিল।

পাকিস্তানের খুররাম জেলার সঙ্গে আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশের সীমান্ত রয়েছে। এসব অঞ্চলে আইএস এবং তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়াও অঞ্চলটির ভূমি বিরোধকে সহিংসতার আরেকটি কারণ হিসেবে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবারের হামলার উদ্দেশ্য এবং হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার ফলে খুররামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

কেএএ/