অর্থনীতি, কর ও অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের যে নীতি
ভোটে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করে ফেলেছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে অর্থনীতি, কর ও অভিবাসন ইস্যুগুলোতে ট্রাম্প কোন নীতি অনুসরণ করতে যাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন ভোটে জিতলে তিনি মূল্যস্ফীতির অবসান ঘটাবেন ও যুক্তরাষ্ট্রকে ফের সাশ্রয়ী করে তুলবেন।
এ লক্ষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনকে আরও সম্প্রসারিত করবেন বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, জ্বালানি খরচ যেন কম আসে, সে জন্য আর্কটিক মরুভূমির মতো এলাকাগুলোতে নতুন তেলকূপ খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান ট্রাম্প।
ট্রাম্প বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর কমানোর প্রস্তাব করেছেন, সংখ্যার হিসেবে যা প্রায় ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের। প্রথম দফায় ক্ষমতায় এসে ২০১৭ সালেও তিনি একই ধরনের একটি করনীতি গ্রহণ করেছিলেন, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদশালীদেরই বেশি সুবিধা দিয়েছিল।
ধারণা করা হচ্ছে যে, এবারও হয়তো সেরকমই কিছু ঘটবে। ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি আমদানি পণ্যের ওপর শুল্কহার বৃদ্ধি করবেন।
এই ইস্যুতে ট্রাম্প ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছিলেন। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণের যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন, এবার সেটির কাজ শেষ করবেন বলে মার্কিন নাগরিকদের কথা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেছেন যে, ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর তিনি আইন করে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সূত্র: বিবিসি
এমএসএম