বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো দিল্লি, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে একটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুলের কাছে পার্ক করা গাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে ও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে দিল্লির রোহিনী এলাকার প্রশান্ত বিহারে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে, বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। পরে পুলিশ জানায়, তারা এখনো সন্দেহজনক কিছু পায়নি এবং তদন্তের অংশ হিসাবে ভূগর্ভস্থ স্যুয়ারেজ লাইন পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডকে (এনএসজি) জানানো হয়েছে ও তাদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারে। বিস্ফোরণের পেছনে অপরিশোধিত বোমা থাকতে পারে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর রয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনো সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। মাটির নিচের পাইপলাইনে বিস্ফোরণ হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে বারবার বোমা হামলার আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভারত থেকে যাওয়া একাধিক প্লেনে। এবার রোববার সকালে রাজধানীতে এই বিস্ফোরণ ঘটলো। এই ঘটনা সোমবার হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির সিআরপিএফ স্কুলের পিছনের দেওয়ালের দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড ও পুলিশের দল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৭টা ৫০ নাগাদ পিসিআর কলে তাদের কাছে বোমা বিস্ফোরণের খবর আসে। তারপরই ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দুটি ইউনিট। তবে এই ভয়াবহ ঘটনার জেরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেনি। কারণ রোববার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় স্কুল বন্ধ ছিল।
সামনেই দীপাবলির উৎসবে মাতবে ভারত। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাজারে ভিড় অত্যন্ত বেশি। সেই সুযোগে সন্ত্রাসীরা নাশকতা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রতিবারই উৎসবের দিনগুলিতে নাশকতা ছড়ানোর জন্য তৎপর হয়ে থাকে সন্ত্রাসীরা। সেকারণেই সিআরপিএফ স্কুলের সামনে এই বিস্ফোরণকে হালকাভাবে নিতে চাইছে না ভারত কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ