গাজায় নিহত ৪২০
ফিলিস্তিনের গাজায় গত ১৩ দিন ধরে ইসরায়েলি হামলায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গতকাল রোববার। গাজায় ওই দিন অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছে।এ নিয়ে গাজায় নিহত সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২০ জনে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, নারী ও শিশুসহ যারা নিহত হয়েছে তাদের প্রায় অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। গাজার অদূরে অবস্থিত শেজাইয়া এলাকায় শেল হামলায় সেখানকার বেশিরভাগ বাড়িঘর ও স্থাপনাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শেজাইয়াতে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট-এর একজন কর্মী।
এছাড়া ইসরায়েলি বোমা ও শেল থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে শেজাইয়ার হাজারও মানুষ।
এদিকে, গাজায় এই ইসরায়েলি হামলাকে ‘নৃশংসতা’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন। সহিংসতা বন্ধের জন্য ইসারয়েল-কে আহবান জানিয়েছেন তিনি।
হামলা করে বেসামরিক মানুষ হত্যা করে ইসরায়েল ‘যুদ্ধাপরাধ’ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন হামাস-এর একজন মুখপাত্র সামি আবু জাহরি।
জাহরি বলেছেন, শেজাইয়াতে ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে এবং এটি একটি যুদ্ধাপরাধ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বলেছেন, আক্রান্ত এলাকায় কোনও অ্যাম্বুলেন্সকে যেতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। ফলে, আহতদেরকে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, রোববারের ঘটনায় ১৩ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এছাড়া হামাস এক ইসরায়েলি সেনাকে গতকাল জীবিত আটক করেছে বলে টেলিভিশনে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে হামাস-এর কাশেম ব্রিগেড-এর মুখপাত্র আবু ওবেইদা।
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন এই হামলা চলবে।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক ফোনালাপের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আবারো বলেছেন যে, নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরায়েল-এর রয়েছে।
অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কি ভাবে কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে শীঘ্রই তিনি মধ্যপ্রাচ্যে যাবেন। বিবিসি