লেবাননে নিজ দেশের শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চায় ইতালি
লেবাননে নিজ দেশের শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাচ্ছে ইতালি। সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি লেবাননে মোতায়েন সব ইতালীয় সৈন্যর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন, লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনী (ইউনিফিল) এবং স্থানীয় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয় এমন একটি পৃথক মিশনে সৈন্য মোতায়েন রেখেছে ইতালি। ইউনিফিলে এক হাজারেরও বেশি ইতালীয় সৈন্য কাজ করে।
মেলোনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ইসরায়েলি বাহিনী যে মনোভাব পোষণ করছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে শত্রুতা বন্ধ করার বিষয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব ইসরায়েলি বাহিনী স্পষ্ট লঙ্ঘন করছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে সোমবার দক্ষিণ লেবাননে শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিভিন্ন অবস্থানে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এসব হামলায় ৫ শান্তিরক্ষী আহত হন।
তিন সপ্তাহ ধরে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই সময়ের মধ্যে প্রায় চার লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে একটি প্রজন্ম ঝড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। কারণ এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
- আরও পড়ুন:
- তিন সপ্তাহে লেবাননে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৪ লাখ শিশু
- ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ইসরায়েলের ২০০ বিমান হামলা
- ইসরায়েলে আরও হামলার হুমকি হিজবুল্লাহর
গত তিন সপ্তাহে লেবাননে ইসরায়েলি হামলার কারণে ১২ লাখ মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই বৈরুত এবং লেবাননের উত্তরের বিভিন্ন শহর ছেড়ে পালিয়েছে।
ইউনিসেফের মানবিক কার্যক্রমের উপ-নির্বাহী পরিচালক টেড চাইবান বেশ কিছু স্কুল পরিদর্শন করেছেন যেগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সেখানে বাস্তুহারা লোকজন আশ্রয় নিয়েছে।
টিটিএন