পাকিস্তানকে কৃষি ও টেক্সটাইল খাতে কর ছাড় তুলে নিতে বললো আইএমএফ
পাকিস্তান সরকারকে কৃষি ও টেক্সটাইল খাতে প্রদত্ত কর ছাড় এবং অন্যান্য প্রণোদনা দ্রুত তুলে নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দাতা সংস্থাটির মতে, এই দুই খাত দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে দীর্ঘদিন ধরে বাধাগ্রস্ত করে আসছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আইএমএফ বলেছে, কৃষি ও টেক্সটাইল খাত কেবল পাকিস্তানের জাতীয় রাজস্বে যথাযথ অবদান রাখতে ব্যর্থই নয়, বরং এই খাতগুলো সরকারি তহবিলের একটি বড় অংশ গ্রহণ করছে, যা অকার্যকর এবং প্রতিযোগিতাহীন অবস্থায় রয়েছে।
আইএমএফের ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) চুক্তির অংশ হিসেবে পাকিস্তানকে দেশটির ৭৫ বছরের পুরোনো অর্থনৈতিক নীতি থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
- পাকিস্তানকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ
- দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি সবার বাড়লেও কমছে বাংলাদেশের
- ৩ বছর পর এক অংকে নামলো পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে। এটি দেশটির জীবনমান কমিয়েছে এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশেরও বেশি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচে ঠেলে দিয়েছে।
পাকিস্তানের রপ্তানি ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য না আসার জন্য দেশটির কৃষি ও টেক্সটাইল খাতকে দায়ী করা হয়েছে। দক্ষিণ এশীয় দেশটির অর্থনীতি প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত হতে পারেনি। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়ে, টেক্সটাইল খাতের উচ্চমাত্রায় কর ফাঁকির কারণে এটি অন্যান্য খাতের তুলনায় বেশি সুবিধা পেয়েছে।
এ অবস্থায় আইএমএফ পাকিস্তান সরকারের ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি (২০২৫-২৯)-এর অধীনে বাণিজ্য নীতিগুলো সরল করার সুপারিশ করেছে এবং অকার্যকর খাতগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য শুল্ক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে।
এছাড়া, প্রতিবেদনে ভর্তুকি এবং স্থানীয় সামগ্রীর প্রয়োজনীয়তার মতো নীতি পরিহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আইএমএফ জানিয়েছে, পাকিস্তানের কৃষি খাতও সরকারের বড় মাপের হস্তক্ষেপের কারণে পিছিয়ে রয়েছে। কৃষি খাতে শ্রমের উৎপাদনশীলতা অনেক কম এবং এর সঙ্গে অন্যান্য দেশের তুলনায় পরিবর্তনের হারও খুব কম।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পাকিস্তানের প্রতিযোগিতামূলক খাতগুলোকে আরও বিকশিত করার সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটি।
সূত্র: ডন
কেএএ/