জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলো ন্যাশনাল কনফারেন্স, গুরুত্ব কমলো কংগ্রেসের
প্রত্যাশিতভাবেই কাশ্মীরের ভোটের ফলপ্রকাশের পর শক্তি বাড়লো ফারুখ আবদুল্লাহর দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের। স্বতন্ত্র হিসেবে জিতে আসা চার বিধায়ক প্রকাশ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্সকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করলেন। ফলে ৯০ আসনের কাশ্মীর বিধানসভায় একাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেলো ফারুখের দল। ‘জুনিয়র পার্টনার’ থেকে কাশ্মীরে কার্যত ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হলো কংগ্রেস।
৯০ আসনের কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী, কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট অনায়াসে ম্যাজিক ফিগার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অন্য কোনো দলের সমর্থন তাদের প্রয়োজন পড়বে না। বিজেপি যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল সেটাও বাস্তবায়িত হয়নি। ন্যাশনাল কনফারেন্সই কাশ্মীরের একক বৃহত্তম দল হয়েছে।
ন্যাশনাল কনফারেন্স জিতেছে ৪২ আসনে। জোটসঙ্গী কংগ্রেস জিতেছে ৬ আসনে। দুই সঙ্গী মিলিয়ে ইন্ডিয়া জোটের দখলে রয়েছে ৪৮ আসন। ৯০ আসন বিশিষ্ট জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪৬।
বৃহস্পতিবার মোট চারজন স্বতন্ত্র বিধায়ক ন্যাশনাল কনফারেন্সকে নিঃশর্ত সমর্থনের কথা ঘোষণা করলেন। ইন্দেরওয়াল কেন্দ্রের বিধায়ক প্যারেলাল শর্মা, ছম্বের বিধায়ক সতীশ শর্মা, সুরানকোটের বিধায়ক চৌধুরী মহম্মদ আক্রম ও বাণির বিধায়ক ড. রামেশ্বর সিং ন্যাশনাল কনফারেন্সকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। যার ফলে ৯০ আসন বিশিষ্ট জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় একাই ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেললো এনসি। তাদের হাতে বিধায়ক সংখ্যা ৪৬।
ফলে সরকার গড়ার জন্য জুনিয়র পার্টনার কংগ্রেসকে আর প্রয়োজন পড়বে না ওমর আবদুল্লাহদের। বস্তুত সেদিক থেকে দেখতে গেলে কংগ্রেস কার্যত গুরুত্বহীন সঙ্গী হিসেবে রয়ে গেলো আবদুল্লাদের সঙ্গে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম