ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে সৃষ্ট ‘উদ্বেগজনক’ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘মব জাস্টিস’ ও ‘বিচার বহির্ভূত হত্যা’। বিষয়গুলো একদিকে যেমন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তেমনি অস্বস্তি বাড়াচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের।

এমন পরিস্থিতেতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে গত কয়েক মাসে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি

স্থানীয় সময় সোমবার (৭ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর গত কয়েক মাসে যারা বাংলাদেশি জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, তাদের সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশে এখন দুর্গাপূজার সময়। নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন উদ্বেগের মধ্যে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায় তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে, হিন্দু সম্প্রদায় যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে বার্তা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন সরকার কি সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষায় বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে?

জবাবে মিলার বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর এ কথা সারা বিশ্বের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

আরেক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জন সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা নিয়ে ফ্রান্সভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা জেএমবিএফের জরুরি আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কি কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে? এছাড়া নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা মামলার সংখ্যা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের আলোকে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে জবাবদিহি কীভাবে নিশ্চিত করবে যুক্তরাষ্ট্র? মার্কিন সরকার এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষাকে কীভাবে দেখছে?

জবাবে মিলার বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো মন্তব্য করতে পারি না। তবে এটা বলতে পারি যে, মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সূত্র:ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট

এসএএইচ