পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ১৮
পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শিশুসহ কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। গত ২০ বছরের মধ্যে প্রথম বারের মতো পশ্চিম তীরে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালালো ইসরায়েল। খবর আল জাজিরার।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে শক্তির অপব্যবহার করেছে তা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গত কয়েক বছরে সেখানে ড্রোন বা হেলিকপ্টার থেকে হামলা হয়েছে। তবে প্রায় দুই দশক পর যুদ্ধবিমান থেকে ভয়াবহ হামলায় এক মা, তার দুই সন্তান এবং তার ভাইসহ কমপক্ষে ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে।
যে ভবনে হামলা চালানো হয়েছে সেটি মাটির সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে তীব্র রোগীর চাপ দেখা দিয়েছে। তুলকারেম শরণার্থী শিবিরের জন্য এটা ছিল একটি ভয়াবহ দিন।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গত দুদিনে জাতিসংঘের তিনটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। প্রায় এক বছর ধরে গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে যেন এক ধ্বংষস্তূপে পরিণত করেছে দখলদার বাহিনী। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী আগ্রাসন চালায়নি।
- আরও পড়ুন:
- লেবাননে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৫
- ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পক্ষে নন বাইডেন
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৭৮৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৬ হাজার ৭৯৪ জন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
টিটিএন