ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পরমাণু নীতি বদলালো রাশিয়া, পশ্চিমাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, পরমাণু শক্তিধর কোনো দেশ পরমাণু শক্তি নেই এমন দেশকে সাহায্য করলে তা যৌথ আক্রমণ বলে ধরে নেবে রাশিয়া। পুতিনের এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার পারমাণবিক হামলার রাস্তা প্রশস্ত করলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার পরমাণু কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেখানে তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো পরমাণু শক্তিহীন দেশ আক্রমণ চালালে তা একরকম। কিন্তু সেই দেশ যদি পরমাণু শক্তিধর অন্য দেশ বা একাধিক দেশের থেকে সাহায্য পায়, তাহলে রাশিয়া বিষয়টিকে যৌথ আক্রমণ হিসেবে ধরে নেবে এবং সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।

আরও পড়ুন>>

পুতিনের এই বক্তব্য চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পশ্চিমা বিশ্বে। ইউক্রেন সাহায্যকারী দেশগুলোর কাছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চাইছে, যেন তারা রাশিয়ার আরও ভেতরে আক্রমণ করতে পারে।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি বলেছেন, ইউক্রেনের পারমাণবিক চুল্লিগুলোতে হামলার ছক কষছে রাশিয়া। যেভাবেই হোক তা আটকানো প্রয়োজন।

বেলরুশে আক্রমণ হলে পরমাণু অস্ত্র

পুতিন জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালে বেলারুশের সঙ্গে রাশিয়ার বিশেষ চুক্তি হয়েছিল। বেলারুশ রাশিয়ার কাছের বন্ধু। বেলারুশে কোনো ধরনের আক্রমণ হলে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বেলারুশ। তারা সরাসরি ইউক্রেনে সেনা না পাঠালেও রুশ সেনাদের জন্য রাস্তা খুলে দিয়েছে।

পুতিন জানিয়েছেন, বেলারুশের আকাশ ব্যবহার করে ইউক্রেন রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে, যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। এমনটি আর হতে দেওয়া যাবে না। সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র এতদিন ধরে রাশিয়ার জনগণকে সম্ভাব্য আক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষা দিয়েছে। রাশিয়ার হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে এ কথা জেনে বহু দেশ আক্রমণ করেনি। বর্তমান সময়ে যুদ্ধের কৌশল বদলেছে। রাশিয়াও নিজেদের লড়াইয়ের কৌশল বদলেছে। তবে দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখতে সর্বশেষ হাতিয়ার পরমাণু অস্ত্র। আর কোনো উপায় না থাকলে রাশিয়া ওই অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হবে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে
কেএএ/