ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মণিপুরে বড়োসড়ো হামলার শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে ফের বড়োসড়ো হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে ৯০০ কুকি যোদ্ধা রাজ্যটিতে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির গোয়েন্দারা। তাই আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মেইতেই অধ্যুষিত এলাকায় হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে রাজ্যটিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

১৬ মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই ও সংখ্যালঘু কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে দফায় দফায় সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এসব সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫০ জন নিহত হয়েছে। বাস্তুহারা হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।

এবারের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, মণিপুরে ফের উত্তেজনা বাড়াতে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে ৯০০ কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদী। চলতি মাসের শেষে মেইতেই অধ্যুষিত গ্রামে বড়োসড়ো হামলার পরিকল্পনা করেছে তারা। বৃহস্পতিবার ইম্ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মণিপুর পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস আইইডি উদ্ধার করার পর এই সতর্কবার্তা জানিয়েছে গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এরই মধ্যে অনুপ্রবেশকারীরা ৩০ জন করে দলে বিভক্ত হয়ে মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তারা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, ড্রোন হামলায় পারদর্শী, জঙ্গলে যুদ্ধ চালানোর পদ্ধতিও তাদের জানা।

মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থায় সেনাবাহিনী। বাড়ানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, মণিপুরে সক্রিয় রয়েছে বহু কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদী। দক্ষিণ মণিপুরে বসবাসকারী কুকিদের মিয়ানমারের চিন উপজাতির সঙ্গে জাতিগত সম্পর্ক রয়েছে। এরই মধ্যে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর কাজ চলছে। প্রায় ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার বিস্তৃত ওই সীমান্ত বেড়া বসাতে খরচ হবে ৩১ হাজার কোটি টাকা।

এর রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং বলেছিলেন, ভারতের মণিপুর রাজ্যে চলমান অস্থিরতার পেছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে। এর প্রমাণ হিসেবে সদ্য গ্রেফতার হওয়া একজন বিদেশির কথা উল্লেখ করেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, সহিংসতার ঘটনায় সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে আসাম রাইফেলস। ওই ব্যক্তি কুকি ন্যাশনাল আর্মির (বার্মা) ক্যাডার বলে জানা যায়। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির আরেক নাম কেএনএ-বি। পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি মিয়ানমারের নাগরিক। এ ঘটনার জেরেই এমন মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ