গাজায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল বলছে, তারা উত্তর গাজার হালিমাহ আল-সাদিয়াহ স্কুলে হামলা চালিয়েছে। সেখানে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও পাঁচজন নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন মানবাধিকার কর্মী আয়সেনুর ইজগি আইগি (২৬) দখলকৃত পশ্চিম তীরের বেইতার কাছে অবৈধ ইসরায়েলি বসতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় ইসরায়েলের বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী বানা আমজাদ বকর নামের এক শিশু ছিল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। প্রায় ১০ মাস ধরে চলা এই সংঘাতে কমপক্ষে ৪০ হাজার ৮৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৪ হাজার ৪৫৪ জন।
এদিকে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফিলাডেলফি কোরিডর থেকে সেনা প্রত্যাহারের অস্বীকার করে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্ব জেনিনে চার হাজার বাসিন্দাকে বন্দুকের মুখে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মতো কৌশল ব্যবহার করছে।
টিটিএন