গ্রেফতারি পরোয়ানার মধ্যেই মঙ্গোলিয়া সফরে পুতিন
মঙ্গোলিয়ায় সফর করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত বছর আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিসি) তার ওপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো সদস্য দেশে পা রাখলেন তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোরে পা রাখেন পুতিন। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে সেখানে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সে সময় মঙ্গোলিয়ার শীর্ষ নেতারা তাকে স্বাগত জানান। এদিকে পুতিনের এই সফরের সময় যেন তাকে গ্রেফতার করা হয় সে বিষয়ে মঙ্গোলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অভিযোগ, রুশ প্রেসিডেন্ট যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী। একই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর সেখান থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়া ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন পুতিন।
এর আগে আইসিসির এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, মঙ্গোলিয়ার কর্মকর্তারা সদস্য দেশ হিসেবে আইসিসির বিধান মেনে চলতে দায়বদ্ধ। তবে তার মানে এই নয় যে, পুতিনকে গ্রেফতার করতেই হবে।
এদিকে ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র বলেছেন, পুতিনকে এই সফরের সময় গ্রেফতার করার মতো কিছু ঘটবে বলে তারা মনে করেন না।
পাঁচ বছরের মধ্যে মঙ্গোলিয়ায় পুতিনের প্রথম সফর উপলক্ষে রাজধানী উলানবাটোরের সেন্ট্রাল চেঙ্গিস খান চত্বরে দুই দেশের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। সেখানে মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট উখনাগিন খুরেলসুখের সঙ্গে সাক্ষাত করেন পুতিন। এদিকে সোমবার বিকেলে ‘যুদ্ধাপরাধী পুতিনকে এখান থেকে বের করে দেও’ এমন স্লোগানে রাজধানীতে বিক্ষোভ হয়েছে।
মঙ্গোলিয়া সরকার পুতিনকে গ্রেফতারের আহ্বানের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে মঙ্গোলিয়ায় পুতিনের বিরুদ্ধে আরও বড় বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে।
- আরও পড়ুন:
- পুতিনকে গ্রেফতার করতে মঙ্গোলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন
- ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ, ঝুঁকিতে পড়েছে রুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
- কিয়েভজুড়ে দফায় দফায় বিস্ফোরণ
অপরদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, আমরা মঙ্গোলীয় কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা মেনে চলতে এবং পুতিনকে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে স্থানান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি।
টিটিএন