যুদ্ধবিরতি-বন্দি মুক্তির জন্য এটাই সম্ভবত শেষ সুযোগ: ব্লিঙ্কেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েলে অবস্থান করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সোমবার তিনি বলেছেন, চলমান এই আলোচনা-ই সম্ভবত এই সংঘাতের সমাপ্তি ঘটানোর শেষ সুযোগ। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতা করছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফল হয়নি।
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে বৈঠকে ব্লিঙ্কেন বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করতে এটিই হয়তো শেষ সুযোগ হতে পারে। আমাদের এমনভাবে কাজ করা উচিত যেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা যায় ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে এই চুক্তি সম্পন্ন করতে পাঠিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ব্লিঙ্কেন বলেন, এটি সম্পন্ন করার সময় এসেছে। একই সঙ্গে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, কোনো পক্ষই যাতে এমন কিছু না করে, যাতে এই প্রক্রিয়াকে বিফল হয়।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, তারা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন যাতে কোনো উত্তেজনা না বাড়ে ও যুদ্ধ আরও তীব্রতর না হয়। হামাসের অক্টোবরের ৭ তারিখের আক্রমণের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে নয়বার সফর করেছেন ব্লিঙ্কেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হারজোগ বলেন, ইসরায়েলিরা চান যত দ্রুত সম্ভব গাজায় আটক বন্দিদের ফিরিয়ে আনা হোক। এটা তাদেরও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক লক্ষ্য।
এদিকে, ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সফররত এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তাদের মনে হচ্ছে, এখন চুক্তির ক্ষেত্রে যে বিরোধ রয়েছে তা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।
রোববার নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েল নমনীয় হতে পারে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।
নেতানিয়াহু বলেছেন, আমরা হামাসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এখনো পর্যন্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। যুদ্ধবিরতির আলোচনা খুবই জটিল। হামাস এখনো দোহায় আলোচনার জন্য কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। তাই ইসরায়েল নয়, বরং হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করা উচিত।
গাজায় এখনো ১১০ জন ইসরাইলি বন্দি আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত নভেম্বর যুদ্ধবিরতির সময় একশ বন্দি মুক্তি পেয়েছিলেন।
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স
এসএএইচ