হুথির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাজার সই জাল করেছিলেন সৌদি যুবরাজ!
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে নিজের বাবা রাজা সালমানের স্বাক্ষর জাল করেছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। সোমবার (১৯ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন সাবেক সৌদি কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরি।
বিবিসিকে আল-জাবরি বলেন, সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত একজন বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তা তাকে নিশ্চিত করেছেন যে যুবরাজ মোহাম্মদ তার বাবার পরিবর্তে যুদ্ধ ঘোষণার রাজকীয় ডিক্রিতে সই করেছেন। বিবিসির ওই সাক্ষাৎকারে এমন দাবির পেছনে কোন প্রমাণ হাজির করেননি সাদ।
এদিকে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি আরব। তবে দেশটি সাদ আল-জাবরিকে একজন সাবেক নিন্দিত সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করেছে। বর্তমানে সৌদির এই সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কানাডায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে, তার দুই সন্তানকে কারারুদ্ধ করা নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যক্তিগত বিরোধ চলছে তার। তাকে সৌদি আরবে ফিরিয়ে আনতেই দুই সন্তানকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি সাদের।
যুবরাজ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ করা হলো তখন তিনি সৌদি আরবের অনানুষ্ঠানিক প্রধান নেতা হিসেবে কাজ করছেন। মাঝে মধ্যেই ৮৮ বছর বয়সী তার বাবা রাজা সালমানের বদলে তিনি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া যুবরাজ হওয়ার পর থেকেই ভিন্নমতের বিরুদ্ধে বা তাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে এমন বিষয়গুলো কঠোরভাবে দমন করা শুরু করেন সালমান।
২০১৫ সালের ২৬ মার্চ হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। তখন ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে সামরিক সমর্থন দিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। ওই যুদ্ধে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়, যাকে বিশ্বের ভয়াবহতম মানবিক বিপর্যয়ের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বৃষ্টির বাগড়া, কমতে পারে ভোটার উপস্থিতি
- ২ হাসিনার আমলে গুম ২০০ লোকের খোঁজ মেলেনি: তদন্ত কমিশন
- ৩ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?
- ৪ যেসব অঙ্গরাজ্যে নির্ধারিত হবে ট্রাম্প-হ্যারিসের ভাগ্য
- ৫ যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার শঙ্কায় বিভিন্ন রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা