ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

এবার বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমালো এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২৪

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমতে থাকায় বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমালো এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা এবং পরবর্তীতে সরকার কারফিউ জারি করার প্রায় দু’সপ্তাহের মাথায় ক্রেডিট রেটিং কমানোর কথা জানালো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং বি বি মাইনাস থেকে বি প্লাসে নামিয়ে এনেছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল।

আরও পড়ুন>>

ক্রেডিট রেটিং হচ্ছে এক ধরনের স্কোর বা গ্রেড, যা সম্ভাব্য ঋণগ্রহীতাকে দেওয়া হয়। ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা কতটা, তা নির্দেশ করে এই রেটিং। মূলত ঋণগ্রহীতার কত অর্থ, সম্পত্তি ও ঋণ রয়েছে এবং তার ঋণ পরিশোধের ইতিহাস কেমন, তার ওপর ভিত্তি করে ক্রেটিড রেটিং নির্ধারণ করা হয়।

মুডি’স, এসঅ্যান্ডপি এবং ফিচের মতো বেশ কিছু সংস্থা এ ধরনের ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ করে থাকে।

credit ratingএসঅ্যান্ডপি, ফিচ ও মুডি’সের ক্রেডিট রেটিং। ছবি: সংগৃহীত

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল বলেছে, ক্রেডিট রেটিং কমে যাওয়া ‘বাংলাদেশের বাহ্যিক মেট্রিক্সের ওপর ক্রমাগত চাপকে’ প্রতিফলিত করে। বিশেষ করে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমে যাওয়ার বিষয়টি চিত্রিত হয়েছে এর মাধ্যমে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুন মাসের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। তবে সাম্প্রতিক কারফিউয়ে কারণে গার্মেন্টসসহ প্রধান অর্থনৈতিক খাতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অর্থনীতির ওপর চাপ আরও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন>>

দেশজুড়ে কারফিউ এখনো বলবৎ থাকলেও এটি শিথিলের সময় বেড়েছে এবং তার ফলে ব্যবসাগুলো ক্রমান্বয়ে চালু হতে শুরু করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এসব ঘটনা ইঙ্গিত করে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন ঋণদাতা ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মধ্যে আরও অর্থের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার প্রয়োজন হবে।

স্থানীয় একটি শিল্প সংস্থা বলেছে, কারফিউ এবং ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাস্তবে এর পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।

এর আগে, গত মে মাসে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমিয়েছিল আরেক মার্কিন সংস্থা ফিচ।

কেএএ/