ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বঞ্চনার কথা বলতেই বন্ধ হলো মাইক, নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট মমতার

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৫:৫৬ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে কথা বলতে না দিলে অথবা মাইক বন্ধ করে দিলে বৈঠক বয়কট করবেন। ঘোষণা অনুযায়ী তাই-ই করেছেন তিনি। শনিবার (২৭ জুলাই) দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন মমতা।

ভারতের বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গী সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবন রাইসিনায় উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক চলাকালে তিনি বৈঠক ছেড়ে বেড়িয়ে যান।

রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে এসে মমতা বলেন, আমি দেশের স্বার্থে, পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে, জোটসঙ্গী রাজ্যগুলোর স্বার্থে এখানে একা এসেছি। কেন্দ্রীয় বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সব উন্নয়নকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বিরোধী দলগুলোর রাজ্যকে কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না।

‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমি ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধসহ বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছিলাম। তখনই আমার কথা বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমাকে এভাবে অপমান করার প্রতিবাদে বৈঠক বয়কট করে আমি বেরিয়ে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, আসাম, গোয়া, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের লম্বা সময় ধরে বলতে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি যেই বলতে শুরু করলাম, তারা বাধা দিলেন। আমার রাজ্যের স্বার্থে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু বৈষম্যমূলক আচরণ করে আমার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

মমতা ব্যানার্জীর অভিযোগ, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০ মিনিট বলতে দেওয়া হয়। আসাম, গোয়া ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের ১০-১২ মিনিট করে সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি বক্তব্য শুরু করার পাঁচ মিনিটের মধ্যে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বিভাজন কেন করছেন? আপনাদের এই বঞ্চনা আমি মানি না।

এদিকে, নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতার মাইক বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়তেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সাফাই জানানো হয়েছে। তারা বলেছে, মধ্যাহ্নভোজের পর বক্তব্য রাখার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতার। কিন্তু দিল্লি থেকে ফেরার তাড়া থাকায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধে বৈঠকে সপ্তম বক্তা করা হয়েছিল তাকে। কোনো ঘণ্টাও বাজানো হয়নি। শুধু ঘড়ি দেখিয়ে জানানো হয়েছিল সময় শেষ।

কেন্দ্রীয় সরকার আরও বলে, মধ্যাহ্নভোজ শেষ হওয়ার পর ফের বলার সুযোগ পেতেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার আগেই তিনি ওয়াক আউট করেন।

ডিডি/এসএএইচ