ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ইংরেজি শিক্ষার হার বাড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রকে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেও কিম জং উনের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়া তাদের সরকারি স্কুলগুলোতে ইংরেজি শিক্ষার হার বাড়াচ্ছে। এমনই দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ)। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ নথি, পাঠ্যবই ও অন্যান্য শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়বস্তু থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

সব তথ্য-প্রমাণ পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করেছে ভিওএ’র কোরীয় সার্ভিস। তারা বলছে, দেশটির সরকার তাদের দেশে ঢুকে পড়া আমেরিকান প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ও বিরোধী মনোভাবাপন্ন। তারা আমেরিকান সংস্কৃতির বিরুদ্ধে নাগরিকদের সতর্ক করেছে। তবে, বিশ্বে কোণঠাসা ও বিচ্ছিন্ন এই দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ইংরেজি ভাষা-শিক্ষার মূল্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার কোরীয় সেন্ট্রাল ব্রডকাস্টিং টেলিভিশন গত মাসে সে দেশের শিক্ষকদের সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ সম্প্রচার করেছে। সেখানে ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

পিয়ংইয়ং-এর সাংশিন মিডল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আন সুং আই একটি ভিডিও ক্লিপে বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় কমরেড’ কিম জং উন আমাদের নির্দিষ্টভাবে কম্পিউটার প্রযুক্তি ও বিদেশি ভাষা শিক্ষার উপর জোর দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিভিশন নেটওয়ার্কও সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ‘ইংরেজি শিখন কক্ষে’র ভিডিও সম্প্রচার করেছে।

উত্তর কোরিয়ার চার বছরের প্রাথমিক স্কুল ব্যবস্থাকে এক বছর বাড়িয়ে পঞ্চবার্ষিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করা হয়েছে যাতে শিশুরা অনেক কম বয়স থেকেই ইংরেজি শেখা শুরু করতে পারে।

২০১৯ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান ওয়াই ইয়ন লি। তখন তার বয়স ছিল ১৯। তিনি ভিওএর কোরীয় সার্ভিসকে বলেন, আমি যখন মিডল স্কুলে ছিলাম, তখন থেকে ইংরেজি শিখতে শুরু করি। পরে, কম বয়সে ইংরেজিতে শিক্ষার কার্যকারিতা নিয়ে কিছু বিতর্ক হয় ও সরকার নীতি পরিবর্তন করে প্রাথমিক স্কুল থেকেই ইংরেজি শেখাতে শুরু করে।

কিম জং উনের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বৈরীতা বৃদ্ধি করেছে ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাব লঙ্ঘন করে একের পর এক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে তারা অস্থিরতা বাড়িয়েছে।

চলতি বছরের জুন মাসে উত্তর কোরিয়া একাধিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম- এমনটা প্রমাণ করতেই এসব পরীক্ষা চালানো হয়েছে।

এসএএইচ