‘প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম’
বিতর্কে নাস্তানাবুদ বাইডেনের নতুন ‘অজুহাত’ ভ্রমণের ক্লান্তি
নির্বাচনের আগে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর থেকেই তুমুল সমালোচনার মুখে রয়েছেন ৮১ বছর বয়সী এ নেতা। বিরোধীদের দাবি, বয়সের ভারে ন্যুব্জ বাইডেন আর দেশ চালানোর মতো অবস্থায় নেই। কিন্তু সেই দাবিকে বরাবরের মতোই উড়িয়ে দিয়েছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। বিতর্কে খেঁই হারানোর জন্য এরই মধ্যে বেশ কিছু কারণ দেখিয়েছেন তিনি ও তার সমর্থকরা; এর মধ্যে সবশেষটি হলো- বিদেশ ভ্রমণের ক্লান্তি।
গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভার্জিনিয়ায় একটি দলীয় প্রচারণা অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেছেন, গত সপ্তাহে বিতর্কের মঞ্চে তিনি ‘প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছিলেন’। বিতর্কের কিছুদিন আগে পরপর কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করার ক্লান্তি জেঁকে বসেছিল তার শরীরে। এ জন্যই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন>>
- বাইডেনের প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই
- বাইডেন কি বাদ, শেষ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী মিশেল ওবামা?
- ‘দোষ উপদেষ্টাদের’/ বাইডেনকে নির্বাচনে থাকতে বলছে পরিবার
সমর্থকদের সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আটলান্টায় বিতর্কের আগে বিশ্বজুড়ে আমি প্রায় ১০০টি টাইম জোনের মধ্য দিয়ে কয়েকবার ভ্রমণ করেছিলাম। এটি খুব বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত ছিল না।
বাইডেন বলেন, তিনি তার কর্মীদের কথা শোনেননি এবং মঞ্চে প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছিলেন।
বিতর্কের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না স্বীকার করে তিনি বলেছেন, এটি অজুহাত নয়, এটি হলো তার ব্যাখ্যা।
বিতর্কের আগে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একাধিকবার বিদেশ সফরের কথাটা মিথ্যা বলেননি বাইডেন। গত মাসে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ফ্রান্স ও ইতালি সফরে গিয়েছিলেন তিনি। ইতালিতে জি৭ সম্মেলনে যোগদান শেষে গত ১৫ জুন সরাসরি যান লস অ্যাঞ্জেলসে। সেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাইডেন। ওইদিনই ওয়াশিংটনে ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন>>
- ‘দুর্বল স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধ’ বলায় বেজায় চটেছেন বাইডেন
- নির্বাচনের আগে টিকটকে যোগ দিলেন বাইডেন
- ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার মনে করেন বাইডেনের আমল ব্যর্থ
তবে ২৭ জুন বিতর্কের আগে বাইডেন টানা ছয়দিন ক্যাম্প ডেভিডে ছিলেন এবং ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।
কিন্তু বিতর্কের সময় ট্রাম্পের ঝাঁঝালো আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারেননি বাইডেন। সেখানে কর্কশ ও কম্পিত কণ্ঠে কথঅ বলতে শোনা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। কিছু কিছু সময় পুরো বাক্যও শেষ করতে পারেননি তিনি। বিপরীতে ট্রাম্প একের পর এক মিথ্যা দাবি করতে থাকেন। বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনিই জিতেছিলেন। কিন্তু সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়া বা তার কড়া প্রতিবাদ করতে পারেননি বয়োবৃদ্ধ বাইডেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টিরই কিছু লোক এটিকে ‘পুরোদস্তুর বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছেন।
হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্টের থেমে থেকে কথা বলার জন্য অবশ্য ঠান্ডা লাগার দোষ দিয়েছিলেন। কিন্তু সমর্থকদের সামনে কোনো অসুস্থতার কথা বলেননি বাইডেন।
সূত্র: স্কাই নিউজ
কেএএ/