বাইডেন-ট্রাম্প বিতর্কে কে জিতলেন?
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের আগে বিতর্কে অংশ নিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বিতর্কে বলতে গেলে হেরেই গেছেন বাইডেন। বর্তমান এই প্রেসিডেন্ট যতি নভেম্বরের নির্বাচনে হেরে যান, তাহলে এই বিতর্কের প্রথম ১০ মিনিটই দায়ী থাকবে।
সিএনএন বলছে, সবার আশা ছিল, এই বিতর্কের মূল বিষয় হবে নির্বাচনী প্রচারণা। কিন্তু অধিকাংশকে হতাশ করে দিয়ে একে অপরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে ঐতিহাসিক এই বিতর্ক। আর বিতর্কে যৌক্তিক কোনো কথা তেমনভাবে বলতে না পারায় আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনের দল ডেকোক্রেট ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, জন এফ. কেনেডি ও রিচার্ড নিক্সন ১৯৬০ সালে টেলিভিশন বিতর্কের পরম্পরা শুরু করার পর থেকে বাইডেনই সবচেয়ে দুর্বল পারফরম্যান্স করেছেন। তাছাড়া বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবার সিএনএনের টেলিভিশন স্টুডিওতে তেমন দর্শকও ছিল না।
বাইডেনের প্রধান বিতর্ক প্রশিক্ষক রন ক্লেইন বলেছেন, বিতর্কে যে কেউ যেকোনো সময় হারতে পারেন। প্রথম ৩০ মিনিটে কেউই জিততে পারেন না সেটা ঠিক। কিন্তু প্রেসিডেন্ট যা করেছেন তা ছিল আত্ম বিধ্বংসী। হেরে যাওয়ার সুর আধঘণ্টার মধ্যেই সবাই বুঝতে পেরেছিল।
বিতর্কে বাইডেনের কাণ্ডকীর্তিতে তার নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে হতাশা দেখা যায়। সিএনএন বলছে, বাইডেনের বিতর্ক শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যে বিপর্যয়ের শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
অবশ্য বাইডেনের দাবি, তিনি ভালোই করেছেন। সঙ্গে তিনি এও বলেন, একজন ‘মিথ্যাবাদী’র সঙ্গে বিতর্ক করা কঠিন।
এদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এবারের বিতর্কের ফরম্যাটটা অন্যান্যবারের তুলনায় বেশ ভালো। তবে সঞ্চালকরা উভয় প্রতিদ্বন্দ্বীর দেওয়া তথ্যগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করেননি। তাছাড়া এটা ছিল জো বাইডেনের জন্য খারাপ একটি রাত।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাইডেনের অনেক জবাবই স্পষ্ট ছিল না। তাকে বয়সের ভারে এলোমেলো মনে হচ্ছিল। তবে বিতর্কের দ্বিতীয় ধাপে তিনি নিজেকে কিছুটা সামলে নেন ও ভালো করেন। তবে ততক্ষণে অনেক দেরী যায়। বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতে যান।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি
এসএএইচ