ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলকে ৬৫০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ২৭ জুন ২০২৪

গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলকে নানা ভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে নিরাপত্তা সম্পর্কিত ৬৫০ কোটি ডলারের সহায়তা প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই সামরিক সহায়তার প্রায় অর্ধেকই গত মাসে সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি বিশাল, বড় একটি উদ্যোগ।

ওয়াশিংটন অস্ত্র সরবরাহ করছে না বলে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন নেতানিয়াহু। সে কারণে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থনের গভীরতা দেখানোর জন্যই এ তথ্য প্রকাশ করেছেন ওই কর্মকর্তা।

চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মধ্যে আলোচনার সময় সামরিক সহায়তার তথ্য উঠে আসে।

প্রায় ৮ মাস ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। অভিযানের নামে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বিমান থেকে গাজার উত্তর, মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ শহরের দক্ষিণাঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন যে, হাজার হাজার নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ গাজার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে তার সফরের সময় ইসরায়েলের ফোর্স বিল্ড আপ এবং অস্ত্র সরবরাহের জন্য মার্কিন সমর্থনের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার বিষয়ে আল-আকসা হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবী এবং হাসপাতালের প্রযুক্তিবিদ খালেদ শাকশির বলেন, এটি অসহনীয়। গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে অবস্থিত এই হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিয়া মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামগুলো ভেঙেচুরে গেছে। প্রায় ৮ মাসে কমপক্ষে ৩৭ হাজার ৭১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৬ হাজার ৩৭৭ জন।

টিটিএন