ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

হামাসকে নির্মূল করা সম্ভব নয়, প্রথমবার স্বীকার করলো ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ২০ জুন ২০২৪

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল, হামাসকে হারানো। কিন্তু টানা আট মাস ধরে অভিযান চালিয়ে ৩৭ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর এখন তারা বলছে, স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করা সম্ভব নয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র গত বুধবার (১৯ জুন) বলেছেন, হামাস একটি আদর্শ। আর কোনো আদর্শকে নির্মূল করা যায় না। ইসরায়েলি কোনো কর্মকর্তার মুখ থেকে এ ধরনের কথা এটিই প্রথমবার শোনা গেলো।

আরও পড়ুন>>

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আচমকা হামলার পর গাজায় অভূতপূর্ব আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে তারা হামাসের প্রতিপত্তি নির্মূলে ব্যর্থ হলেও ডেকে এনেছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। গত আট মাসে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ৩৯৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হযেছেন আরও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ।

ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১৩’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, আমরা হামাসকে নির্মূল করতে যাচ্ছি, এটি হলো মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা দিতে না পারলে হামাস শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে।

তার কথায়, হামাস হলো একটি আদর্শ। আর আমরা কোনো আদর্শকে নির্মূল করতে পারি না।

আরও পড়ুন>>

উচ্চপদস্থ একজন সেনা কর্মকর্তার এমন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে ইসরায়েলে। এরই মধ্যে তার ওই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। নেতানিয়াহু বারবার বলে এসেছেন, হামাস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের গাজা আক্রমণ শেষ হবে না।

তার কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতা ধ্বংস করাকে নির্ধারণ করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অবশ্যই এর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

বিতর্কের মুখে পরে নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, রিয়ার অ্যাডমিরাল হাগারি হামাসকে ‘একটি আদর্শ হিসেবে’ সম্বোধন করেছিলেন এবং তার বিবৃতি ‘পরিষ্কার ও স্পষ্ট’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। অন্য যেকোনো দাবি বক্তব্যটিকে প্রসঙ্গের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: এএফপি
কেএএ/