কলকাতায় হঠাৎ অর্ধেকে নামলো চামড়ার দাম
সারা বিশ্বের মতো পশ্চিমবঙ্গেও উদযাপিত হয়েছে ঈদুল আজহা। মুসলিমদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসবে পশু কোরবানির নিয়ম রয়েছে। এ কারণে এটিকে কোরবানির ঈদও বলা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত পশু কোরবানি হয় মসজিদগুলোতে। যারা কোরবানি করেন, তারা নিজেদের পশুগুলো আশপাশের মসজিদে দিয়ে আসেন। সেখানেই কোরবানি করা হয়। ভাগ-ভাটোয়ারা শেষে পড়ে থাকে পশুর চামড়া। সেগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়।
যেসব মসজিদে পশু কোরবানি করা হয়, সেখান থেকে চামড়া কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকার চামড়ার হাটের ব্যবসায়ীরাই এসব চামড়া কিনে থাকেন। সাধারণত চামড়া বিক্রির অর্থ নেন না কোরবানি দেওয়া ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। মসজিদ, মাদরাসা অথবা গরিব মানুষদের মধ্যে দান করা হয় এই অর্থ।
আরও পড়ুন>>
- ১০ টাকাও দাম নেই ছাগলের চামড়ার
- চামড়ার দাম নিয়ে বিপাকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা
- দাম না পেয়ে কোরবানির পশুর চামড়া খেয়ে ফেলছেন অনেকে
কিন্তু, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর পশুর চামড়ার দামে রীতিমতো ধস নেমেছে। কয়েক বছর আগেও কলকাতায় একেকটি বড় গরুর চামড়া এক থেকে দেড় হাজার রুপিতে বিক্রি হতো। ছাগলের চামড়ার দাম ছিল ৫০০ রুপি।
কিন্তু চলতি বছর ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়া বড় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ রুপিতে। ছোট গরুর চামড়ার দাম উঠেছে ৩০০ রুপি। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩০ থেকে ৬০ রুপিতে।
পার্ক সার্কাসের এক ব্যবসায়ী জানান, চামড়ার চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন দাম একটু কম। তবে কয়েক বছর আগেও এই চামড়া চড়া দামে বিক্রি হয়েছে।
ডিডি/কেএএ/