লোহিত সাগরে গ্রিসের জাহাজে হুথিদের হামলা
ইয়েমেনভিত্তিক হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে গ্রিসের মালিকানাধীন একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগেও লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর আল জাজিরার।
জাহাজটি ভারতের মুরমুগাও থেকে মিশরের সুয়েজ খালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। তবে জাহাজটির নাম না জানিয়ে অ্যামব্রে বলছে, এটি পূর্ব আফ্রিকার ইরিত্রিয়া থেকে ১১৮ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ২১৮ কিমি) পূর্বে থেমেছিল। জাহাজ এবং এর ক্রুদের অবস্থা জানা যায়নি।
হুথিরা বুধবার লোহিত সাগর এবং আরব সাগরে তিনটি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে একটি মার্কিন জাহাজও রয়েছে বলে হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি নিশ্চিত করেছেন।
মূলত হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের ঢেউ গিয়ে পৌঁছেছে লোহিত সাগরে। গাজায় বোমা হামলা শুরুর পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে লোহিত সাগরে। কারণ বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি সেখানে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান।
ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানাতেই সেখানে হামলা শুরুর ঘোষণা দেয় হুথি বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে। তবে গাজায় এখনো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়নি ইসরায়েল।
এদিকে অবরুদ্ধ এই উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুহারা লোকজনের ওপর হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় ৮ মাস ধরে চলা সংঘাতে ৩৬ হাজার ৫৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৩ হাজার ৭৪ জন। গাজায় সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এভাবে সংঘাত চলতে থাকলে আরও কয়েক হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাবে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলছে, গাজায় যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি এবং তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রধান বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার সময় হামলা থামানো হবে না।
টিটিএন