বুথফেরত জরিপ ‘ভুল’
৪০০ আসনে জেতার স্বপ্ন উধাও মোদীর
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসনে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচনে প্রচারণা থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত সে কথা শোনা গেছে প্রায় সব বিজেপি নেতার মুখে। কিন্তু ভোট গণনা এগিয়ে যেতেই হারিয়ে যেতে বসেছে সেই স্বপ্ন। ‘আব কি বার ৪০০ পার’ দূরের কথা, বিজেপির জন্য এবার ৩০০ পেরোনোই কঠিন হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের বিস্ময়কর ফলাফলে ভূমিধস বিজয়ের স্বপ্ন হয়তো পূরণ হচ্ছে না মোদীর।
যদিও নিজের আসনে বিশাল জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর। বারাণসীতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নেতা অজয় রায়ের চেয়ে এক লাখের চেয়ে বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন>>
- কংগ্রেসের চমক, প্রত্যাশার চেয়ে পিছিয়ে বিজেপি
- ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা হয় যেভাবে
- পশ্চিমবঙ্গে তারকা প্রার্থীদের কার কী অবস্থা?
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ওই আসনে নরেন্দ্র মোদী পেয়েছেন ৫ লাখ ১১ হাজার ২৩২ ভোট, আর অজয় রায় পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৭ ভোট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্যমতে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২৯১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এর মধ্যে ২৩৮টি আসনেই এগিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা। এরই মধ্যে এনডিএ জোটের জয় নিশ্চিত হয়েছে তিনটি আসনে।
বিপরীতে, ভারতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে রয়েছে ২৩০টি আসনে। জয় নিশ্চিত হয়েছে আরও একটি আসনে। এর মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে ৯৯ আসনে, জয়ী হওয়া আসনটিও তাদের। এছাড়া, সমাজবাদী পার্টি ৩৫, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯, ডিএমকে ২২, আম আদমি পার্টি তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
বুথফেরত জরিপ ‘ভুল’
অথচ গত ১ জুন শেষ দফার নির্বাচনের পর প্রায় সবগুলো বুথফেরত জরিপে বিজেপির ভূমিধস জয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছিল। কিছু কিছু জরিপে এনডিএ জোটের আসনসংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন>>
- এবারই বিজেপি জোটের আসন ৪০০ ছাড়াতে পারে, বলছে বুথফেরত জরিপ
- বিজয় উদযাপনে শত শত কেজি লাড্ডু-মিষ্টির অর্ডার
- পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে তৃণমূল
বুথফেরত জরিপে আরও বলা হয়েছিল, বিরোধী ইন্ডিয়া জোট ১০৭ থেকে সর্বোচ্চ ১৬৬ আসনে জয়ের দেখা পেতে পারে। এমনকি, পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি বড় ব্যবধানে জিতবে বলে দাবি করা হয়।
কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর সঙ্গে বাস্তব ফলাফলের বিশাল পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। যদিও বুথফেরত জরিপ ভুল হওয়ার উদাহরণ নতুন নয়। এটি অনিবার্য ভাবারও কোনো কারণ নেই। বিরোধী দলগুলো এসব ভবিষ্যদ্বাণীকে বিজেপিপন্থি মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা বলে দাবি করেছে।
কেএএ/