লোকসভা নির্বাচন
কংগ্রেসের চমক, প্রত্যাশার চেয়ে পিছিয়ে বিজেপি
১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো ভারত। কোন রাজ্যে কে জয়ী হবে তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটই এগিয়ে আছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এনডিএ জোট এখন পর্যন্ত ২৯১ আসনে এগিয়ে। যদিও বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছিল এনডিএ জোট চারশো পার করতে পারে। কিন্তু প্রত্যাশিত সেই ফলাফল থেকে অনেক পিছিয়ে বিজেপি।
অপরদিকে এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইন্ডিয়া জোট ২৩৪ আসনে এগিয়ে। তাদের এই ফলাফলকে চমক হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট ১৫০ থেকে ১৬০টি আসন পেতে পারে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে এনডিএ ৩৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ওই রাজ্যে ৪৫টি আসনে এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট। সেখানে বিজেপি পিছিয়ে থাকলেও এগিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই রাজ্যের বারানসী আসনে মোদী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাইয়ের চেয়ে এক লাখের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
নরেন্দ্র মোদী এবারের নির্বাচনে জয়ী হলে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মতো টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হবেন। বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারের কল্যাণমূলক কর্মসূচি, হিন্দু জাতীয়তাবাদ, জাতীয় নিরাপত্তাসহ মোদীর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হলেও মোদী তার প্রচারণার দিক পরিবর্তন করে বিভাজনমূলক বক্তব্য দেন, যা তার কৌশলকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে মুসলমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে খুশি করার অভিযোগ এনেছেন মোদী। বুথফেরত জরিপগুলো বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের পুনরায় ক্ষমতায় আসার পূর্বাভাস দিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দৃশ্যপট কিছুটা বদলে গেছে। কংগ্রেস যেভাবে এগিয়ে গেছে ততটা কেউই আশা করেনি।
এছাড়া বিজেপি জোট ৪০০ আসন পার করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটারও কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। এখনো এনডিএ জোট ৩০০ আসনই পার করতে পারেনি।
এদিকে বিরোধী দলগুলো বলছে, মোদী ফের ক্ষমতায় থাকলে ভারতীয়রা তাদের স্বাধীনতা হারাবে। বিরোধীরা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে না পারার অভিযোগ তোলে। এক দশক ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিরোধীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বিজেপি সরকারের পদ্ধতিগত বৈষম্যের ওপর জোর দিয়েছে।
বিরোধীরা যদি টানা তৃতীয় মেয়াদে পরাজিত হয় সেটা দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে। ফলে কংগ্রেস পার্টিতে ঝুঁকির মুখে পড়বে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব। তবে প্রাথমিক ভোট গণনায় মোদীর ভূমিধস জয়ের আভাস মেলেনি।
নরেন্দ্র মোদী যখন আব কি বার, চারশ পার (এবার চারশ ছাড়িয়ে যাব) স্লোগান দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছিলেন, তখন তিনি তার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জন্য ৪০০টিরও বেশি আসনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য রেখেছিলেন।
সবচেয়ে আশাবাদী বুথফেরত জরিপও পূর্বাভাস দিয়েছিল যে তার জোট ৪০০ আসনে জয়ী হবে। প্রাথমিক ভোট গণনা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে বিরোধী মধ্য বামপন্থি ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বারানসিতে মোদী তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ লাখ ১২ হাজার ১৬১ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। এখন পর্যন্ত মোদীর প্রাপ্ত ভোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫৮৭ এবং অজয় রাই ৩ লাখ ১৯ হাজার ৪২৬টি ভোট পেয়েছেন।
- আরও পড়ুন:
- পশ্চিমবঙ্গে তারকা প্রার্থীদের কার কী অবস্থা?
- ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা হয় যেভাবে
- ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু
- পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে তৃণমূল
৫৪৩ আসনবিশিষ্ট লোকসভার সবচেয়ে বেশি আসন উত্তরপ্রদেশে। এ কারণে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে রাজ্যটির বেশ গুরুত্ব রয়েছে। এবার উত্তর প্রদেশের ৮০ আসনের মধ্যে ৭৫টিতে বিজেপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাকি পাঁচ আসন জোটসঙ্গীদের ছেড়ে দিয়েছে দলটি।
অন্যদিকে ‘ইন্ডিয়া’ জোট এই রাজ্যে আসন ভাগাভাগি করে ভোটে অংশ নিয়েছে। সমাজবাদী পার্টি উত্তর প্রদেশে ৬২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারা কংগ্রেসকে ১৭ আসন ছেড়ে দিয়েছে আর তৃণমূল কংগ্রেসকে একটি আসন দেওয়া হয়েছে।
টিটিএন/এমএসএম
টাইমলাইন
- ০৮:৫২ পিএম, ০৬ জুন ২০২৪ জেলে থেকেও বিপুল ভোটে জয়ী সেই ‘খালিস্তানি’ নেতা
- ০৬:১০ পিএম, ০৬ জুন ২০২৪ রাহুলকেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে দেখতে চায় কংগ্রেস
- ০৪:২০ পিএম, ০৬ জুন ২০২৪ শেখ হাসিনা ছাড়াও যারা থাকছেন মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে
- ০৭:৩৮ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ নীতিশ-নাইডুর কাছ থেকে লিখিত সমর্থন পেলেন মোদী, শপথ শনিবার
- ০৬:২৪ পিএম, ০৪ জুন ২০২৪ কারাগার থেকে বেরিয়ে সরাসরি ‘কিংমেকার’ নাইডু
- ০৪:৪৪ পিএম, ০৪ জুন ২০২৪ ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস
- ০৩:৩১ পিএম, ০৪ জুন ২০২৪ দিল্লিতে এগিয়ে কারা, কী অবস্থা কেজরিওয়ালের?
- ০২:৫১ পিএম, ০৪ জুন ২০২৪ কংগ্রেসের চমক, প্রত্যাশার চেয়ে পিছিয়ে বিজেপি