ভারতে লোকসভা নির্বাচন
বিজয় উদযাপনে শত শত কেজি লাড্ডু-মিষ্টির অর্ডার
ভারতে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা চলছে। এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আবার খুব একটা পিছিয়ে নেই বিরোধী জোট ইন্ডিয়াও। জয়ের প্রত্যাশায় বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় দলের লোকজনই লাড্ডুসহ বিভিন্ন মিষ্টি প্রচুর পরিমাণে অর্ডার দিচ্ছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ জুন) বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিশাল ব্যবধানে জয়ের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তার বিজয় উদ্যাপনের জন্য কাশী বিশ্বনাথ (কেভি) হিন্দু মন্দিরে ২৫০ কেজি লাড্ডু দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে, রাজস্থানের একটি মিষ্টির দোকান ১১শ কেজি লাড্ডুর অর্ডার পেয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য বিজেপি ৫০০ কেজি এবং বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক ও কর্মী-সমর্থকরা ৬০০ কেজি লাড্ডুর অর্ডার দিয়েছেন। অন্যদিকে, জয় উদযাপন করতে ২০১ কেজি লাড্ডু বিলি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ছত্তিশগড়ের রায়পুরের বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপির মুখপাত্র আশিস আগরওয়াল বলেছেন, আমরা শুধু লাড্ডু নয়, প্রচুর পরিমাণে অন্যান্য মিষ্টিরও অর্ডার দিয়েছি। পরিমাণটি আমি সঠিকভাবে বলতে পারবো না, তবে এটা নিশ্চিত করতে পারি যে সবার জন্য যথেষ্ট হবে।
বারাণসীর বিজেপি বিধায়ক নীলকান্ত তিওয়ারি বলেনম, আমাদের প্রস্তুতি চলছে। আমরা প্রথমে কেভি মন্দিরে ২৫০ কেজি লাড্ডু দেবো। আর ফলাফল ঘোষণার পরপরই দলের নিচিবাগ অফিস থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে একই লাড্ডু প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হবে।
এদিকে, বিভিন্ন প্রার্থী, সমর্থক ও কর্মীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্ডার আসায় মিষ্টির দোকানগুলোতে কাজ করা কর্মীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এসব দোকানে কারিগরদের কুইন্টাল লাড্ডু, লালপেড়াসহ অন্যান্য মিষ্টি তৈরি করতে দেখা গেছে। কিছু মিষ্টির দোকানে লাড্ডু তৈরির জন্য আলাদা জায়গা করা হয়েছে।
বারাণসীর মিষ্টি ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র লালভানি বলেন, বিজেপি নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে প্রচুর অর্ডার এসেছে। লাড্ডু ছাড়াও অন্যান্য মিষ্টি ও খাদ্যসামগ্রীর অর্ডার পাচ্ছি। আবার সবকিছু মিলিয়ে একটি বিশেষ প্যাকেট তৈরি করেছি আমরা। সেগুলোকে যথাসময়ে প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসীতে অতুলনীয়। এমনকি, সমালোচকরাও তার জয়ের শক্তিশালী সম্ভাবনাকে স্বীকার করেছেন।
সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসএএইচ