এমপি আনোয়ারুল আজীম হত্যা
জিহাদকে আদালতে তোলা হয়েছে
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় ভারতে গ্রেফতার জিহাদ হাওলাদারকে আদালতে তোলা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত জজ কোর্টে তোলা হয়েছে। এর আগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর জিহাদ নিজের নাম সিয়াম বলে জানান।
পরবর্তীতে তার আসল পরিচয় জানা যায়। জিহাদ পেশায় একজন কসাই। ২৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামে। পুলিশকে বিভ্রান্তে ফেলার জন্য নিজের নাম সিয়াম বলে জানিয়েছিলেন জিহাদ। পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের সঠিক নাম এবং বাংলাদেশের ঠিকানা জানান জিহাদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। বলা হয়েছে, এই সিয়াম হচ্ছে জিহাদ। আততায়ীরা মুম্বাই থেকে জিহাদ নামে পেশায় ওই কসাইকে নিয়ে আসেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুম্বাইতে বসবাস করছিলেন জিহাদ। ২ মাস আগে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন। তিনিই এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা।
- আরও পড়ুন:
- সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারী জিহাদকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি
- এমপিকে হত্যা করতে ফয়সাল-মোস্তাফিজুরের পাসপোর্ট করা হয় এপ্রিলে
- আনোয়ারুল হত্যা: সিলিস্তি-আমানসহ তিনজন গ্রেফতার
- এমপি আনোয়ারুলের সন্দেহভাজন ৪ খুনির আখ্যান
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ ৪ জন ওই এমপিকে তার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তারপর তারা ফ্ল্যাটের মধ্যেই পুরো শরীর থেকে সমস্ত মাংস আলাদা করে এবং মাংসের কিমা করে তারপর তারা সমস্ত কিছু পলিথিনের প্যাকে রেখে দেয়। পাশাপাশি হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে প্যাক করে। তারপর সেই প্যাকেটগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ব্যবহার করে এবং কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ফেলে দেয়।
জানা গেছে, শুক্রবার (২৪ মে) জিহাদকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালতে পাঠানো হবে। তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির তরফে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তার বক্তব্য যাচাই করবে এবং তাকে সঙ্গে নিয়েই খুন হওয়া সংসদ সদস্যের শরীরের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করবে।
ডিডি/টিটিএন