ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্র নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ২৩ মে ২০২৪

জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্র নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, এ ধরনের ঘটনার (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হতে পারে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের মিশন থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

স্থানীয় সময় বুধবার (২২ মে) বিকেলে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিয়মিত প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন ডুজারি। তিনি বক্তব্য, আমরা আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই যে মহাসচিব এমন সব কর্মকর্তাকেই শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাতে অঙ্গীকারবদ্ধ, যারা দক্ষতা ও সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলেন। এসব মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও অঙ্গীকার।

আরও পড়ুন: 

প্রশ্নের উত্তরের শুরুতেই তিনি বলেন, আমরা প্রতিবেদনটি দেখেছি। আমাদের শান্তিরক্ষা বিভাগের সহকর্মীরা এ বিষয়ে যোগাযোগ করছেন ও প্রতিবেদনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাছে একটি বিবৃতি দিয়েছি৷

ডুজারিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যে দেশ থেকে শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকর্তা পাঠানো হচ্ছে (স্বাগতিক দেশ), তারাই মূলত এসব কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাই করেন। সেক্ষেত্রে, যদি কোনো দেশ বা দেশের শাসক নিজেই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হয়ে থাকে, তাহলে তারা কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করবেন? তারা কীভাবে জানবে কে লঙ্ঘনকারী, আর কে লঙ্ঘনকারী নন?

আরও পড়ুন:

জবাবে ডুজারিক বলেন, যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটি তিনটি ধাপে করা হয়। প্রথম ধাপে ব্যক্তিগত মানদণ্ডে যাচাই হয়। পরের ধাপে বাছাইয়ের কাজটা করে স্বাগতিক দেশ ও শেষ বাছাই প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, বিগত বছরগুলোতে অল্প কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে আমরা কর্মকর্তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের পূর্ব-ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছি, যারা আমাদের শান্তিরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন। এ ধরনের কিছু ঘটলে আমাদের শান্তিরক্ষা বিভাগের সহকর্মীরা যাচাই-বাছাই ও অন্যান্য নীতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিই।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

এসএএইচ