আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ উদ্ধার হয়নি: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে কি না, সেটিও নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২২ মে) বিকেলে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস থেকে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি সিআইডি অখিলেশ চতুর্বেদী জানান, বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীম ব্যক্তিগত সফরে এসে এখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। ১৮ মে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। সংসদ সদস্যের পরিচিত গোপাল বিশ্বাস এই অভিযোগ দায়ের করেন এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা তদন্ত শুরু করি।

আরও পড়ুন>>

• এমপি আনোয়ারুল আজীমকে খুনে ৩ বাংলাদেশি আটক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
• ‘দিল্লি পৌঁছেছি, সঙ্গে ভিআইপি আছে’
• আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ নিয়ে ধোঁয়াশা

তিনি বলেন, এর জন্য ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট থেকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। এরপর গত ২০ মে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই কেসটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার একটি নির্দেশ আসে। এরপর আজ ২২ তারিখে আমাদের কাছে একটি তথ্য আসে যে, তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এরপরে আমাদের পুলিশ এই ফ্ল্যাটটিকে শনাক্তকরণ করে। কারণ এখানেই তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। পরবর্তী বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে আরও তদন্ত চলছে। সিআইডি এই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজি সিআইডি জানান, এখন পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়নি। আমরা কেসের তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের কাছে যা তথ্য রয়েছে, তাতে ১৩ তারিখে তিনি এই ভবনে ঢুকেছিলেন। তবে এর আগে এসেছিলেন কি না সেটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। যদিও বিষয়টি এখনো তদন্তসাপেক্ষ।

আরও পড়ুন>>

• ভারতে নিখোঁজ এমপির মেসেজ ঘিরে জট পাকাচ্ছে ‘সন্দেহ’
• কলকাতায় বাংলাদেশি এমপি খুন, যা বলছে ভারতের মিডিয়াগুলো
• এমপি আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ড দুই দেশের কোনো বিষয় নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি এখনই বলা সম্ভব নয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফটোগ্রাফি সব টিমকে এই তদন্তে ইনভাইট করা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছেন।

অখিলেশ চতুর্বেদী আরও জানান, যে ফ্ল্যাটটিতে ওই সংসদ সদস্য এসে উঠেছিলেন, সেটি সন্দীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা (প্রবাসী বাংলাদেশি) আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে।

কেএএ/