চুরির জন্য প্লেনে ভ্রমণ করতেন তিনি
প্লেনে পাশে বসা যাত্রীর স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চম্পট দিতেন তিনি। প্রায়ই যাতায়াত করতেন প্লেনে। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল চুরি। অবশেষে ধরা খেলেন দিল্লি পুলিশের হাতে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও এক জনকে ধরেছে পুলিশ। চোরাই জিনিস বেচাকেনার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, রাজেশ কপূর নামের ওই যুবক গত বছর প্রায় ২০০টি ফ্লাইটে যাত্রা করেছেন। যাত্রার মাঝেই চুরিরকাণ্ড ঘটাতেন তিনি। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (আইজিআই) উষা রঙ্গানানি এক প্রেস কনফারেন্সে চুরিকাণ্ডের কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা পাহাড়গঞ্জ এলাকা থেকে রাজেশকে গ্রেফতার করেছি। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে লক্ষাধিক রুপির সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে।
রঙ্গানানি আরও বলেন, গত তিন মাসে আমরা প্লেনে দু’টি পৃথক চুরির অভিযোগ পেয়েছিলাম। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছিল, দু’টি চুরির ঘটনার নেপথ্যে একজনই রয়েছেন। আমরা একটা বিশেষ দল গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করি।
গত এপ্রিলে হায়দরাবাদ থেকে দিল্লিগামী প্লেনে এক যাত্রীর সাত লাখ রুপির গয়না চুরি হয়। অন্য ঘটনাটি ফেব্রুয়ারির। অমৃতসর থেকে দিল্লিগামী প্লেনে সে বার চুরির ঘটনাটি ঘটেছিল। এক যাত্রীর ২০ লাখ রুপির গয়না চুরি হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই দুই প্লেনের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখানেই দেখা যায় ওই দুই প্লেনের যাত্রী তালিকায় নাম ছিল রাজেশের।
অভিযুক্তের খোঁজ পেতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের থেকে তথ্য চায় পুলিশ। এয়ারলাইনসের থেকে রাজেশের ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সেই নম্বর ভুয়া বলে জানতে পারে পুলিশ। তবে পুলিশ পরে রাজেশের আসল নম্বর খুঁজে পায়। তার পরই তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। পুলিশি জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করেন রাজেশ।
তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, চুরির গহনা বিক্রি করে যে অর্থ পেয়েছিলেন, তা অনলাইন জুয়া খেলায় ব্যয় করছেন।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম