কানাডায় শিখ নেতা খুনের ঘটনায় আরও এক ভারতীয় গ্রেফতার
খালিস্তানপন্থি নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলায় আমানদীপ সিং আরও এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে কানাডা। শনিবার (১১ মে) ২২ বছর বয়সী এই ওই যুবককে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশের ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিম। এ নিয়ে নিজ্জার হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করলো কানাডা।
জানা গেছে, আমানদীপ অন্য একটি মামলায় আগে থেকেই কানাডা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্ত চলাকালীনই নিজ্জার হত্যার সঙ্গে আমানদীপের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায় বলে দাবি কানাডা পুলিশের। শনিবার গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি খুনের ধারা যোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
- কানাডায় শিখ নেতাকে খুনের ঘটনায় ৩ ভারতীয় গ্রেফতার
- রাজনৈতিক চাপে পড়েই ভারতকে দুষছে কানাডা: জয়শংকর
- কানাডায় শিখ নেতাকে হত্যার ঘটনায় ভারতকে জড়ালেন ট্রুডো
এর আগে ৩ মে নিজ্জার হত্যা মামলায় তিন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, করণ ব্রার (২২), কমলপ্রীত সিং (২২) ও করণপ্রীত সিং (২৮)।
গত বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে হারদিপ সিং নিজ্জারকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যার ঘটনায় ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। তারপর থেকেই ভারত-কানাডার সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে। ট্রুডোর অভিযোগকে অযৌক্তিক ও প্রভাবিত বলে দাবি করে নয়া দিল্লি।
আরও পড়ুন:
- কানাডার সঙ্গে দ্বন্দ্বে ভারতে ডালের বাজার টালমাটাল
- ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৫ আইনপ্রণেতাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গোপন ব্রিফিং’
- ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বে কার পক্ষ নেবে যুক্তরাষ্ট্র?
সম্প্রতি ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতারের ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর বলেন, খালিস্তানি নেতা হারদিপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাডায় যা হচ্ছে, তার বেশিরভাগই সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে হচ্ছে। সেই সব বিষয়ের সঙ্গে ভারতের বিন্দুমাত্র যোগসূত্রও নেই।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কেন নিজ্জারের মৃত্যু নিয়ে ভারতের সমালোচনা করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে জয়শংকর বলেণ, কানাডার গণতন্ত্রকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে খালিস্তানপন্থিদের একটি অংশ। তারা লবি তৈরি করেছে ও ভোটব্যাংকে পরিণত হয়েছে। তাই ক্ষমতাসীন দল খালিস্তানিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ