ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৫৭, ঘরছাড়া ৭০ হাজার মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, ০৫ মে ২০২৪

ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে ব্রাজিল। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে প্রাণঘাতী বন্যা, ভূমিধস ও ঝড়ের কারণে ঘর ছেড়েছেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। শনিবার (৪ এপ্রিল) ব্রাজিলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, প্রবল বন্যায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ৭৪ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৬৭ বাসিন্দা। তবে নিহতদের এই তালিকায় প্লাবিত একটি গ্যাস স্টেশনে বিস্ফোরণে প্রাণ হারানো দু’জনকে রাখা হয়নি।

আরও পড়ুন>>

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ব্রাজিলের রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যে পানির স্তর দ্রুত বাড়তে থাকায় বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়েছে, বিশেষ করে পোর্তো আলেগ্রে শহর। অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ বসবাস করেন।

শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুয়াইবা নদীর পানির উচ্চতা ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৫.০৪ মিটার বেড়েছে। ১৯৪১ সালে বিধ্বংসী বন্যার সময় নদীটিতে পানির উচ্চতা বেড়েছিল ৪.৭৬ মিটার, যা এবারের বন্যার থেকে যথেষ্ট কম।

প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে কাজ করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলো। এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ২০০ জনকে বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন>>

ব্রাজিলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা আরও জানিয়েছে, বন্যার কারণে সুপেয় পানির অভাবে পড়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। এই দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতিকে ‘অপরিমেয়’ বলে উল্লেখ করেছে তারা।

অনেক জায়গায় বাসে ওঠার জন্য অপেক্ষমান মানুষদের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। যদিও শহরের কেন্দ্র থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বন্যার কারণে গত শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে পোর্তো অ্যালেগ্রে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন
গত বৃহস্পতিবার বন্যাকবলিত অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা। এই বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন>>

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সিসকো এলিসেউ অ্যাকুইনো বলেছেন, বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন এবং আবহাওয়ার এল নিনো পরিস্থিতির ‘বিপর্যয়কর মিশ্রণের’ ফলাফল ছিল ব্রাজিলে আঘাত হানা সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ঝড়।

দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশটি সম্প্রতি বেশ কয়েকবার প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

অ্যাকুইনো বলেছেন, ভৌগলিক কারণে অঞ্চলটি প্রায়শই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং মেরু বায়ুর সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব ঘটনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।

কেএএ/