‘গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা থেকে লাভবান হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব’
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, আমেরিকাসহ পুরো পশ্চিমা বিশ্ব সমরাস্ত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ভয়াবহ গণহত্যা থেকে লাভবান হচ্ছে। তিনি রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন।
সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘাতে ওয়াশিংটনের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন আসাদ। তিনি বলেন, আমরা যখন বলি আমেরিকা তখন আমরা পুরো পশ্চিমা বিশ্বকে বোঝাই। কারণ, পশ্চিমা বিশ্বকে আমেরিকাই নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, বিশ্বের যেকোনো সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসিদ্ধি হচ্ছে। প্রথমে সে সংঘাত বাধিয়ে দিয়ে দূরে সরে দাঁড়ায় এবং এরপর মোক্ষম সুযোগে চূড়ান্ত আঘাত হেনে নিজের অবৈধ স্বার্থ হাসিল করে।
বাশার আল আসাদ বলেন, ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ বা ‘সংঘাত বাধিয়ে শাসন করো’ নীতিতে চলে আমেরিকা। কিন্তু ব্ল্যাকমেইল করার এই নীতি সম্পূর্ণ অনৈতিক। মার্কিন সরকার যেকোনো সংঘাতকে ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক মাত্রায় নিয়ে যায় কিন্তু সেই বিপদের ভুক্তভোগী হয় সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষ। আর আমেরিকা দূরে দাঁড়িয়ে তা উপভোগ করে।
গাজা উপত্যকায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গণহত্যামূলক যুদ্ধ চলার জন্য তেল আবিবের প্রতি ওয়াশিংটনের সমরাস্ত্র সরবরাহকেই দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ।
সম্প্রতি গাজার খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েক মাস অভিযান চালানোর পর সম্প্রতি সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। ওই গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে নতুন করে হামলার ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছে। এর আগে এক রাতেই বোমা হামলায় রাফায় ২২ জন প্রাণ হারায়।
আরও পড়ুন:
- গাজায় গণকবর থেকে ১৮০টি মরদেহ উদ্ধার
- এবার ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ইরানসহ যে কয়টি দেশ থেকে হামলা চালানো হয় ইসরায়েলে
- কুয়েত-কাতারের মার্কিন ঘাঁটি থেকে ইরানের ওপর হামলা নিষিদ্ধ
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৬ হাজার ৯৮০ জন।
টিটিএন