কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে মুজিবনগর দিবস পালন
কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বুধবার (১৭ এপ্রিল) যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের দিন মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। এদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং মুজিব চিরঞ্জীবী মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
এরপর রিয়াজুল ইসলাম কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রিয়া) এবং এএসএম আলমাস হোসেন কাউন্সিলর বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ গ্যালারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মুজিবনগর দিবস নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় ঐতিহাসিক শপথ অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বিস্তারিত তুলে ধরেন সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
এরপর সমাপনী বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বঙ্গবন্ধু স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দিক নির্দেশনা মূলক নেতৃত্বের কারণে জাতীয় চার নেতা নিশ্চিত করেছিলেন যে বাংলাদেশের সরকার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের মাটিতেই শপথ নেবে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগরে বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের কারণে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সমর্থন আদায় সহজ হয়েছিল।
উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বর্তমান অভাবনীয় উন্নতির উদাহরণ দিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়ে এগিয়ে চলছে। যা একসময় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপ নেবে। উপ-কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস এ লক্ষ্য পুরনে অংশ নিতে সবাইকে আহ্বান জানান।
পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) মারেফাত তারিকুল ইসলাম। সর্বশেষ বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেখানে হামলা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল কলকাতার শ্রী অরবিন্দ ভবন ৮, সেক্সপিয়ার সরণি থেকে।
ডিডি/টিটিএন