ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

অবশেষে পিছু হটলো ইসরায়েল, দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ছয় মাস তাণ্ডব চালানোর পর অবশেষে পিছু হটতে শুরু করেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে দক্ষিণ গাজা থেকে নিজেদের স্থল বাহিনীর একাংশ সরিয়ে নিয়েছে তারা। রোববার (৭ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে ফিলিস্তিনি উপত্যকাটির অন্য অঞ্চলগুলোতে তাদের ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা’ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

আরও পড়ুন>>

শিগগির কায়রোয় শুরু হতে চলেছে যুদ্ধবিরতির নতুন আলোচনা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই আলোচনায় অংশ নেবেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদ ও শিন বেটের প্রধানরা।

আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য এরই মধ্যে মিশরীয় রাজধানীতে পৌঁছেছেন মার্কিন তদন্ত সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক উইলিয়াম বার্ন এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি।

এ অবস্থায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।

তবে যুদ্ধবিরতির জন্য যে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, সেটিও স্বীকার করেছেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, আন্তর্জাতিক চাপ ইসরায়েলের ওপর নয়, হামাসের ওপর যাওয়া উচিত।

তার দাবি, হামাসের জন্যই ইসরায়েল নিজেদের অবস্থান কঠোর করতে বাধ্য হচ্ছে। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল চুক্তির জন্য প্রস্তুত, আত্মসমর্পণের জন্য নয়।

আরও পড়ুন>>

এর আগে শনিবারও রাতভর গাজার খান ইউনিস শহরে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শহর খান ইউনিসকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এএফপিকে জানিয়েছে, তাদের ৯৮তম কমান্ডো ডিভিশন খান ইউনিসের মিশন শেষ করেছে। ভবিষ্যৎ অভিযানের জন্য প্রস্তুত হতে ডিভিশনটি এরই মধ্যে গাজা উপত্যকা ত্যাগ করেছে।

ইসরায়েলের এক সেনা কর্মকর্তা হারেৎজ পত্রিকাকে বলেন, সৈন্যরা হামাসের খান ইউনিস ব্রিগেড গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং এর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যার পর সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসরায়েল। তার কথায়, আমরা সেখানে যা যা করতে পারতাম, তা করেছি।

কেএএ/