পশ্চিমবঙ্গের সভায়ও কাশ্মীর ইস্যু, কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ মোদীর
নির্বাচনী প্রচারণায় আবারও পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রোববার (৭ এপ্রিল) রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির লোকসভা আসনে বিজেপির হয়ে প্রচারণায় অংশ নেন তিনি। জনসভায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন,পশ্চিমবঙ্গের মাটি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মাটি, তিনি না থাকলে কংগ্রেসের সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সামনে কবেই আত্মসমর্পণ করতো।
তিনি বলেন, এই কংগ্রেস সরকারই দেশকে ৩৭০ ধারার মতো একটি ক্ষতিকর ধারা উপহার দিয়েছিল। আজ যখন বিজেপির মতো মজবুত সরকার দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হয়েছে, তখন কংগ্রেসের ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেছে, কান্নাকাটি করছে।
আরও পড়ুন>>
- বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে শুধু মিথ্যা বলে: মমতা
- ‘মোদীর গ্যারান্টি জিরো, আমাদের গ্যারান্টি হিরো’
- জনসংযোগে গিয়ে নিজের হাতে চা বানালেন মমতা
‘ইন্ডিয়া’ জোটের মুখ তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, গতকাল কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, মোদীজি দেশের অন্য রাজ্যে কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে কেন আলোচনা করেন? ওই রাজ্যের সঙ্গে কাশ্মীরের কী সম্পর্ক? আসলে কংগ্রেসের কাছে কাশ্মীর কিছুই নয়। কিন্তু ১৪০ কোটির দেশের কাছে কাশ্মীর ভারতের গৌরব। কাশ্মীরের জন্যই দেশের বীর জওয়ানরা আত্মদান করেছেন, জীবন সমর্পণ করেছেন।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমাদের শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এই পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি বাঙালি ছিলেন, কিন্তু কাশ্মীরের জন্য কাশ্মীরের মাটিতে গিয়ে জীবন বাজি রেখেছিলেন। কাশ্মীরের জন্যই তার প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে কত মা তাদের সন্তানদের হারিয়েছেন। আর কংগ্রেস বলছে, কাশ্মীরের সঙ্গে বাকি রাজ্যের কী যোগ রয়েছে। এই মন্তব্য থেকেই ওদের বিভেদের চিন্তাভাবনা ফের একবার সামনে চলে আসলো।
আরও পড়ুন>>
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে নাম লেখালেই বাংলাদেশি হয়ে যাবেন: মমতা
- তৃণমূল-বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় চমক, বাদ পড়লেন কারা?
কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় পশ্চিমবঙ্গের কতটা উন্নয়ন হয়েছে তা নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সরকার জি-২০ বৈঠকের জন্য উত্তরবঙ্গকে এই কারণেই বেছে নিয়েছিল, যাতে এই এলাকা আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জায়গা পেয়ে যায়। আজ কেন্দ্রীয় সরকার চওড়া সড়ক বানাচ্ছে, রেল যোগাযোগ উন্নত করছে, ধূপগুড়ি-জলপাইগুড়ি সড়ক, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে আধুনিক বানানোর জন্য দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। এভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। প্রত্যেকটা পরিবারের জীবনযাপন উন্নত হবে।
এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিশ্রুতি দেন, আগামী নির্বাচনে বিজেপি জিতলে ভারতকে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে।
ধুপগুড়ির সভামঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
ডিডি/কেএএ/