যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামবিদ্বেষী ঘটনা বেড়ে ৩০ বছরে সর্বোচ্চ
যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য এবং আক্রমণের ঘটনায় নতুন রেকর্ড গড়েছে। ক্রমবর্ধমান ইসলামবিদ্বেষ এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে পক্ষপাতের জেরে সেখানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) স্থানীয় একটি পরামর্শক সংস্থা প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন বা সিএআইআর জানিয়েছে, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৮ হাজার ৬১টি ইসলামবিরোধী ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন>>
- মুসলিমদের ভোট হারাতে পারেন বাইডেন, ঝুঁকিতে পুনর্নির্বাচন
- ইরান-সৌদি সমঝোতা/ বড় দুই মুসলিম দেশের পুনর্মিলনে অস্বস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল
- ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঐতিহাসিক প্রেম’
শুধু তাই-নয়, প্রায় ৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের ঘটনার যে রেকর্ড রাখছে সিএআইআর, তার মধ্যে ২০২৩ সালেই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পেয়েছে তারা।
সংস্থাটি জানিয়েছে, কেবল অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই প্রায় ৩ হাজার ৬০০টি ইসলামবিরোধী ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এসবের মধ্যে রয়েছে গত অক্টোবরে ইলিনয়ে ছয় বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান শিশু ওয়াদেয়া আল-ফাইউমকে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত, নভেম্বরে ভারমন্টে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত তিন ছাত্রকে গুলি এবং ফেব্রুয়ারিতে টেক্সাসে এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনাও।
আরও পড়ুন>>
- কোরআন অবমাননা: জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা
- এফবিআইয়ের ‘সোর্স’ হতে রাজি না হওয়ায় কালোতালিকায় মুসলিম যুবক!
- যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদের বাইরে ইমামকে গুলি করে হত্যা
সিএআইআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো ইসলামবিদ্বেষের অভিযোগ কমেছিল। কিন্তু ২০২৩ সালেই দেশটিতে ‘মুসলিমবিদ্বেষের পুনরুত্থান’ ঘটেছে। গত বছরের প্রথম নয় মাসে সেখানে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৫০০টি মুসলিমবিরোধী ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু বছরের শেষ চতুর্থাংশে তা একলাফে বেড়ে প্রতি মাসে প্রায় ১ হাজার ২০০টিতে পৌঁছায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান ইসলামবিদ্বেষের এই ঢেউয়ের পেছনে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে সহিংসতা বৃদ্ধি প্রাথমিক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/