ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মস্কোর হামলায় ‘সরাসরি জড়িত’ ৪ জনসহ ১১ সন্দেহভাজন আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৪

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি কনসার্ট হলে বন্দুক ও বোমা হামলার ঘটনায় ১১ জনকে আটক করেছে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। সংস্থাটির দাবি, আটককৃতদের মধ্যে চারজন সরাসরি হামলায় জড়িত ছিলেন। বিষয়টি এরই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এফএসবি’র প্রধান আলেকসান্দ্র বোর্টনিকভ।

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলের ওই কনসার্টে বন্দুক হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ৯৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত দেড় শতাধিক। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর বলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট রুশ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে একটি ক্রোকাস সিটি হলের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, পাঁচজন বন্দুকধারী এই হামলা চালায়। প্রথমে গুলিবর্ষণের পর সেখানে গ্রেনেড বা বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তাতে হলটিতে আগুন ধরে যায়।

ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলের সামনে পুলিশের অবস্থান/ ছবি: তাসভয়াবহ বন্দুক হামলার পর মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলের সামনে পুলিশের অবস্থান/ ছবি: তাস

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রোকাস সিটির শপিংমলের কনসার্ট হল, রেস্টুরেন্ট, একুরিয়াম ও বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় একযোগে এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে একদল অস্ত্রধারী। পরে শপিংমলের বিভিন্ন জায়গায় বহু মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, মস্কোতে আইএস যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হতাহত করেছেন ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যেতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন: 

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে কাজ করছে। আর এ হামলায় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, মার্চের শুরুতেই মস্কোতে ‌‘বড় সমাবেশ’ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল রুশ কর্তৃপক্ষকে। ওয়াটসন। তবে ক্রেমলিন এই সতর্কতাকে ‘প্রোপাগান্ডা’ উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করে।

বলা হচ্ছে, প্রায় ২০ বছরের মধ্যে এটাই রাশিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা। এর আগে এর আগে ২০১৭ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ মেট্রোতে একটি বোমা হামলার ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছিলেন।

সূত্র: তাস, এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স

এসএএইচ