ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

২০২৫ অর্থবছরে ১৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা আদানির

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৪

ভারতের বৃহত্তম বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ দেশটিতে ১ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির আগামী বছরের মার্চে শেষ হতে যাওয়া অর্থ-বছরের মধ্যে এই বিনিয়োগ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন গ্রুপটির কর্ণধার গৌতম আদানি। আর এই বিনিয়োগের সিংহভাগ যাবে সবুজ বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে।

১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ৭০ শতাংশ বিনিয়োগ করা হবে নবায়নযোগ্য শক্তি, সবুজ হাইড্রোজেন ও সবুজ ইভাকুয়েশনের মতো প্রতিষ্ঠানটির নানা সবুজ শক্তি ব্যবসায়ে। বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ বিমানবন্দর ও নদীবন্দর সম্প্রসারণে ব্যবহার করা হবে।

চলতি অর্থবছরের বিনিয়োগের তুলনায় ২০২৫ সালের পরিকল্পিত এই বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০ শতাংশ বেশি হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রায় ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে আগামী ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দ্বিগুণ অর্থাৎ ২০ হাজার কোটি ডলার করার পরিকল্পনা করেছে আদানি গ্রুপ। গ্রুপের আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে বিমানবন্দর ব্যবসায়ে ৬০ হাজার কোটির বেশি রুপি বিনিয়োগের ঘোষণার পরপরই এই নতুন পরিকল্পনার কথা জানানো হলো।

এ ব্যাপারে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক করণ আদানি জানান, তাদের কোম্পানি পাঁচ বছরের মধ্যে টার্মিনাল ও রানওয়ের সক্ষমতায় অর্ধেক বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে ও বাকি অর্ধেক আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিমানবন্দরগুলোর সিটি-সাইড উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্লেন চলাচলের বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে পুঁজি করে, আদানি গ্রুপ ২০৪০ সালের মধ্যে বিমানবন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে৷

তিনি বলেন, “আমাদের বিমানবন্দরগুলোতে বর্তমানে বছরে ১১০ মিলিয়ন যাত্রী (এমপিএ) ধারণের সক্ষমতা রয়েছে৷ এই সমক্ষমতা বাড়ানো হবে আরও তিনগুণ। লক্ষ্ণৌতে একটি নতুন টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে নাভি মুম্বাইতে একটি টার্মিনাল খোলা হবে। এরপর হবে গুয়াহাটিতে। আমরা আহমেদাবাদ ও জয়পুরের জন্যও নতুন টার্মিনালের পরিকল্পনা করছি। সামগ্রিকভাবে, ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা প্রায় ৩০০ এমপিএ’র একটি সম্মিলিত সক্ষমতার জন্য অপেক্ষা করছি।”

আইএইচআর/এসএএইচ