আরব সাগরে চীন-রাশিয়া-ইরানের যৌথ মহড়া শুরু
ওমান উপসাগর ও আরব সাগরে যৌথ মহড়া মেরিটাইম সিকিউরিটি বেল্ট - ২০২৪ শুরু করেছে চীন, ইরান ও রাশিয়ার নৌবাহিনী। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপ্যতকায় চলমান সংঘাতের মধ্যে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পঞ্চম বারের মতো এই মহড়া করে দেশ তিনটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, গাজায় ছয় মাস ধরে বর্বর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর মধ্যে রাশিয়া, চীন ও ইরানের এই মহড়া গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও সহায়তায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক ধরনের হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর জাহাজে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
অন্যদিকে, এই মহড়াটি এমন সময় হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নৌজোট লোহিত সাগরের জলসীমায় গত বছরের ডিসেম্বর থেকে হুথিদের হামলা মোকাবিলার চেষ্টা করছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর ১৩টি সদস্য দেশ নতুন সদস্য সুইডেনকে নিয়ে ফিনল্যান্ড ও নরওয়ের উত্তরে বিশাল মহড়া চালাচ্ছে।
ন্যাটোর এই মহড়া তাদের নর্ডিক স্টেডফাস্ট ডিফেন্ডার ২৪ নামক বৃহত্তর মহড়ার অংশ। স্টেডফাস্ট ডিফেন্ডার মহড়া হলো কয়েক দশকের মধ্যে ন্যাটোর সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি প্রদর্শন, যেখানে কয়েক মাস ধরে ৯০ হাজার সৈন্য অংশ নেবেন। ন্যাটোর দাবি, এই মহড়া রাশিয়ার জন্য একটি সতর্ক সংকেত।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিন দেশের যৌথ এই মহড়া শুক্রবার (১৫ মার্চ) পর্যন্ত চলবে। এতে দেশগুলোর যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান অংশ নেবে। পাশাপাশি এই মহড়া আরব সাগরে সামুদ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপ সুরক্ষার দিকে মনোনিবেশ করবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারিয়াগ ক্রুজারের নেতৃত্বে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফ্লিট থেকে জাহাজের একটি বহর সোমবার (১১ মার্চ) ইরানের চাবাহার বন্দরে পৌঁছেছে।এই মহড়ার পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা, আজারবাইজান, ভারত, কাজাখস্তান, ওমান ও পাকিস্তানি নৌবাহিনীর প্রতিনিধিরা।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মহড়ার লক্ষ্য হলো সম্মিলিতভাবে আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা বজায় রাখা। এই মহড়ায় চীন গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার উরুমকি, গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট লিনি ও কৌশলগতভাবে সহায়তাকারী জাহাজ ডংপিংহু পাঠিয়েছে।
চীনা ও রুশ বহরের পাশাপাশি এ মহড়ায় ১০টিরও বেশি ইরানি নৌবাহিনীর জাহাজ ও তিনটি হেলিকপ্টার অংশ নেবে। গত মাসে, ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি জানিয়েছিলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তেহরান মার্চের শেষের দিকে বেইজিং ও মস্কোর সঙ্গে যৌথ মহড়া চালাবে।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ