ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৯:০৩ পিএম, ১১ মার্চ ২০২৪

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বিল পাস হওয়ার চার বছর পর চালু হলো সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর হওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। হুঁশিয়ারি দিলেন পশ্চিমবঙ্গে কিছুতেই সিএএ চালু করতে দেবেন না। নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, সাহস থাকলে সিএএ আগে করতেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই করতে হলো কেন?

আরও পড়ুন>

মমতা বলেন, নির্বাচন এলেই কিছু একটা খাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ওরা। আমার কথা হলো ২০২০ সালের সিএএ পাস হয়েছিল। তারপর চার বছর লেগে গেলো! আজ নির্বাচনের দু-তিন দিন আগেই সিএএ চালু করার প্রয়োজন হলো? আসলে এটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা।

সোমবার সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে চাপান উত্তর শুরু হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, আমরা এখনো বিজ্ঞপ্তিটি পাইনি। আইনে কি বলা হয়েছে, পুরো রিপোর্ট দেখার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে যদি কোনো বৈষম্য হয়, সে জিনিস আমরা মানি না। সেটা ধর্ম বৈষম্য হোক বা বর্ণ বৈষম্য হোক।

এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, ছেলের হাতের মোয়া? কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারবে না। জাস্ট শো অফ। বলবে, আপনারা পোর্টালের নাম লেখান। তখন সব ধর্মের মানুষই নাম লেখাবেন কিন্তু সেই নাম আদৌ কার্যকর হবে? এর জন্যই কি মতুয়া ভাই, নমঃশূদ্রেদের আধার কার্ড বাতিলের চক্রান্ত হয়েছিল? কিন্তু আমরা তো সবাই নাগরিক। ভোট আজ আছে। কাল ফুরিয়ে যাবে। আর সিএএ একটা ছলনা। আমি বিশ্বাস করি পশ্চিমবঙ্গে যারা বসবাস করছেন, তারা সবাই এ রাজ্যের নাগরিক। তাদের নাগরিক অধিকার, তাদের সামাজিক অধিকার, ব্যক্তিগত অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার সম্পত্তির অধিকার সবই থাকবে।

এরপর মমতা প্রশ্ন তুলে বলেন, এই নতুন আইন সেই অধিকার খর্ব করবে না তো? সাহস থাকলে সিএএ আগেই করতে পারতো কেন্দ্রের লোকসভার ভোটের আগে এই সিদ্ধান্ত ছলনা ও প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। আমাদের বক্তব্য আগেই জানিয়ে রাখলাম। কাগজ দেখে বাকি প্রতিক্রিয়া দেবো। তবে একটা জিনিস সিএএ নিয়ে কেউ ভয় পাবেন না, এখানে আমরা সিএএ করতে দেবো না।

ডিডি/এমএসএম