রাশিয়ার হামলায় নিহত ৫, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন জেলেনস্কি
ইউক্রেনের ওডেশা নগরীতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আর এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস। স্থানীয় সময় বুধবার (৬ মার্চ) এই হামলা চালায় রাশিয়ান বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও নিউ ইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওডেসার যে স্থানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, সেখান থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরেই একটি জায়গায় বৈঠক করছিলেন জেলেনস্কি ও মিৎসোতাকিস।
আরও পড়ুন:
- শীর্ষ রুশ কমান্ডারদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
- জার্মানির ভুলে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর তথ্য রাশিয়ার হাতে
- রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করা ২০ ভারতীয়কে ফেরানোর চেষ্টা চলছে
- তিন বছরে গড়ালো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেটেনচুক সিএনএনকে জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অনেকে আহতও হয়েছেন। হামলায় জেলেনস্কি ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কেউই আহত হননি। তবে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এতটাই কাছে ছিলেন যে এটির জোরালো শব্দ তিনি শুনতে পেয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, আজ আমরা হামলা হতে দেখেছি। আপনারা দেখেছেন যে কারা এই হামলা করছে। আমি বিস্তারিত এখনো জানি না। কিন্তু আমি এটা জানি বেশ কয়েকজন আহত ও নিহত হয়েছেন।
‘আমাদের দ্রুততার সঙ্গে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। আর নিজেদের রক্ষায় সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আমাদের মিত্রদের উচিত, আমাদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া।’
আরও পড়ুন:
- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব জোরালো করতে চায় চীন-রাশিয়া
- যুদ্ধে ইউক্রেনের ৩১ হাজার সেনা প্রাণ হারিয়েছেন
- ইউক্রেনের ‘প্রতিরোধের প্রতীক’ আভদিভকা শহর দখলে নিলো রাশিয়া
- রাশিয়ার পারমাণবিক কার্যকলাপে দুশ্চিন্তায় পশ্চিমারা
এই হামলার বিষয়ে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী মিৎসোতাকিস সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যখন আমাদের গাড়িতে উঠছিলাম তখন বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পাই। আমি মনে করি, এখানে যে সত্যিকার যুদ্ধ চলছে, তার আর প্রমাণের প্রয়োজন নেই।
ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগে তিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ওডেসা শহরটি ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। রাশিয়ার হামলায় ওডেসায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সূত্র: সিএনএন, নিউ ইয়র্ক পোস্ট
এসএএইচ