হজযাত্রীদের জন্য নতুন সুখবর দিলো সৌদি আরব
চলতি বছর হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু শুরু করেছে সৌদি আরব সরকার। শুক্রবার (১ মার্চ) এ কার্যক্রম শুরু হয়, যা চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ৯ মে থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হজযাত্রীরা হজের উদ্দেশে সৌদি আরবে যাওয়া শুরু করবেন।
এদিকে, অতীতে হাজিদের বাসস্থান নিয়ে যেসব অভিযোগ ছিল, সেগুলো আমলে নিয়ে সংকট সমাধানে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
জানা গেছে, এবার হজযাত্রীদের থাকার জন্য এরই মধ্যে মক্কায় ১ হাজার ৮৬০টি আবাসিক ভবনকে লাইসেন্স দিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। আসন্ন হজ মৌসুমে এসব ভবনে প্রায় ১২ লাখ হজযাত্রী থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
- অনুমতি ছাড়া হজ করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড, ১৫ লাখ টাকা জরিমানা
- সৌদিতে একদিনে ৭ জনের শিরশ্ছেদ
- ভিসা ছাড়াই ওমরাহ করতে পারবেন ২৯ দেশের নাগরিক
- বাংলাদেশি অভিবাসীর ৪৯ শতাংশ সৌদি আরবে: বিবিএস
আগামী ৮ মে পর্যন্ত ভবনের মালিকদের কাছ থেকে আরও লাইসেন্স আবেদন নেওয়া হবে। এতে চলতি বছর মক্কায় হজযাত্রীদের থাকার জন্য অনুমোদিত আবাসিক ভবনের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাছাড়া এবারের হজ মৌসুমের জন্য নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে সৌদি আরবের পবিত্র স্থানগুলোতে আগের মতো দেশভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির হজবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ।
এর আগে এবারের মৌসুমে অনুমতি ছাড়া হজ পালন থেকে বিরত থাকতে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্দেশ দেয় সৌদি সরকার। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানায়, এবার অনুমতি ছাড়া হজ পালন করলে গুনতে হবে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার সমান। এছাড়া যিনি বা যারা অনুমতিবিহীন ব্যক্তিদের মক্কায় পরিবহন করে ধরা পড়বেন, তাদেরও একই পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হবে।
আরও পড়ুন:
- এবারের হজে থাকছে না কোনো বিধিনিষেধ
- হজ করতে এক বছর হেঁটে মক্কায় পৌঁছালেন যুবক
- লাল তালিকাভুক্ত হওয়ার শঙ্কা কাটলো বাংলাদেশের
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, যে প্রবাসী আইন ভঙ্গ করবেন, তাকে প্রথমে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হবে। কারাভোগের পর তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে ও পরবর্তী ১০ বছর তার সৌদিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এমনকি আইন ভঙ্গকারীদের পরিচয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে, যাতে আশপাশের সবাই তাদের চিনে রাখতে পারেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর পবিত্র হজের মূল কার্যক্রম জুনের ১৪ তারিখে হতে পারে। এবছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজের কোটা থাকলেও এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো হজ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ সব মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে একবার হলেও হজ করা বাধ্যতামূলক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষ হজ করতে মক্কায় যান। এছাড়া সৌদির স্থানীয় মানুষও হজ পালন করেন। করোনা বিধিনিষেধ না থাকায় গত বছরের মতো এবারও হজ পালনে পবিত্র মক্কায় লাখ লাখ মুসল্লি সমবেত হবেন।
সূত্র: গালফ নিউজ
এসএএইচ