লোকসভা নির্বাচন
বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস-আপের সমঝোতা
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় সক্রিয় হয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। জানা গেছে, দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি কংগ্রেসকে দিতে রাজি হয়েছেন কেজরিওয়াল। তাছাড়া গোয়া, গুজরাট ও হরিয়ানা রাজ্যেও আসন ভাগাভাগিতে দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বুধবার লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, দেখা যাক আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে কী হয়। তবে সমঝোতার বিষয়টি আরও আগে চূড়ান্ত হওয়া উচিত ছিল বলেও জানান তিনি।
কেজরির দলের পক্ষে বুধবারই তিন আসন ছাড়ার ‘বার্তা’ কংগ্রেস হাইকমান্ডকে দেওয়া হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ঘটনাচক্রে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার আবার কেজরিকে সমন পাঠিয়েছে ইডি।
জানুয়ারিতে কংগ্রেস ও আপ নেতৃত্ব আসন সমঝোতা নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করলেও জট কাটেনি। দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে একটি বা দু’টি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস অন্তত তিনটিতে লড়ার দাবিতে অনড় থাকায় আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল।
কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিকের নেতৃত্বে গঠিত আসন সমঝোতার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন রাজস্থানের সবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, ছত্তীসগঢ়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ ও এআইসিসির সাবেক মুখপাত্র মোহন প্রকাশ ছিলেন বৈঠকে। সঙ্গে ছিলেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দর সিংহ লভলীও।
অন্যদিকে, আপের পক্ষে রাজ্যসভা সংসদ সদস্য সন্দীপ পাঠক ও দিল্লির দুই মন্ত্রী অতিশী ও সৌরভ ভরদ্বাজ অংশ নিয়েছিলেন জানুয়ারির আলোচনায়।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ‘আপ’ শাসিত দিল্লির সাতটি আসনের সবগুলো আসনই জিতেছিল বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তার মধ্যে পাঁচটি আসনেই কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে ছিল। যদিও ২০২০ সালে দিল্লির বিধানসভায় বেশির ভাগ আসনে জিতে কেজরিওয়াল ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
- ভারতে বিজেপি সরকারের আয়ু আর ছয় মাস
- ৩ রাজ্যে জয়ী বিজেপি, একটিতে কংগ্রেস
- ভোটাধিকার কেড়ে নেবে বিজেপি: আশঙ্কা অখিলেশ যাদবের
গত বছর দিল্লির পৌরসভাও বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে আপ। এই পরিস্থিতিতে আপ ও কংগ্রেসের জোট হলে দেশের রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম/টিটিএন