যথাযথ মর্যাদায় অমর একুশে পালন করলো ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব
কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ পালিত হচ্ছে অমরে একুশে তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কলকাতায় যথাযথ মর্যাদায় অমর একুশে পালন করেছে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব।
এ দিবস উপলক্ষে কলকাতার সিআইটি রোডে প্রেসক্লাবের অস্থায়ী ঠিকানায় একাধিক কর্মসূচি পালন করা হয়। ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের প্রথম কর্মসূচিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, আলমাস হোসেন প্রথম সচিব (ভিসা), রিয়াজুল ইসলাম প্রথম সচিব (রাজনৈতিক), রঞ্জন সেন প্রথম সচিব (প্রেস)।
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের পর ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ক্লাবের কনভেনার ভাস্কর সরদার, কোষাধ্যক্ষ দীপক দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ পুততুন্ডু, সভাপতি কিংশুক চক্রবর্তী, সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, সদস্য সাকিল আবদীন, বিক্রম লাহা শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর যথাক্রমে বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম, নিউজ টোয়েন্টিফোর, জাগোনিউজ২৪.কম, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সমকাল, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, যমুনা টেলিভিশন, এটিএন বাংলাসহ দুই বাংলার গনমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাদের প্রতিষ্ঠানের হয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এছাড়া এদিন মেডিক্যাল ক্যাম্পেইনেরও আয়োজন করে প্রেসক্লাব। সেখানে রক্তদানের ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। এদিন অন্তত ৬০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। রক্তদান করেন কলকাতার উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। পরে তিনি বলেন, ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব আমাদের সবার হৃদয়ের কাছের। আমি উপ-হাইকমিশনে যোগদান করার পর থেকেই এই প্রেসক্লাবের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে গেছি।
‘আমাদের সব অনুষ্ঠানে এই প্রেসক্লাবের সদস্যরা আসেন, আমিও তাদের অনুষ্ঠানের থাকি। মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব যে আয়োজন করেছে, তা অসামান্য। তারা একটি শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করেছে। ছোট পরিসরে হলেও বিষয়টি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যশিবির ও রক্তদানের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা খুব ভালো প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি এখানে এসে নিজেকে সামলাতে পারিনি, তাই নিজেও রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিলাম। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালাম। যে কোনো সংগঠন, যারা দুই বাংলা নিয়ে কাজ করে, তারা যেন এই প্রেসক্লাবের কর্মকাণ্ড দেখে শেখে।
উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন, তাদের যে পেশাদার দায়িত্ব শুধু তার মধ্যে না থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ান। এই ধরনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনের দিনে আরও ভালো কাজের উদ্যোগ নেওয়া যাবে।
প্রথম সচিব (ভিসা) আলমাস হোসেন বলেন, মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য শিবির করাটা অতি মানবিক, মহৎ উদ্যোগ। আমি জানি, ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব এ ধরনের উদ্যোগ বারবার নেবে।
প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রিয়াজুল ইসলাম তিনি বলেন, আমরা দুই পাড়ের মানুষ সবাই বাংলায় কথা বলি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে শুধু ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, স্বাস্থ্য শিবির করে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ডিডি/এসএএইচ