পাকিস্তান
জোট সরকারে শাহবাজই প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট জারদারি
নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে জোট সরকার গঠনে চুক্তিতে পৌঁছেছে নওয়াজ-শাহবাজের পিএমএল-এন এবং বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি। দীর্ঘ আলোচনার পরে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে তারা। উভয় দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারা ‘জাতির স্বার্থে’ আবারও জোট সরকার গঠন করছেন।
পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি উভয় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) এখন সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং আমরা পরবর্তী সরকার গঠনের অবস্থানে রয়েছি।
কে পাচ্ছেন কোন পদ
বিলওয়াল জানিয়েছেন, জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন শাহবাজ শরিফ এবং উভয় দলের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন তার বাবা আসিফ আলী জারদারি।
আরও পড়ুন>>
- সেনাবাহিনীকে দিয়ে পিপিপি’র ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পিএমএল-এন!
- অবশেষে জোট সরকার গঠনে শাহবাজ-বিলওয়ালদের ঐকমত্য
- দ্বিতীয় ধাপে সরকারে যোগ দিতে পারে পিপিপি
সিনেটের চেয়ারম্যান হিসেবে পিএমএল-এন নেতা ইসহাক দারের মনোনয়ন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিলাওয়াল বলেন, এ বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিটি দল আলাদাভাবে এর ঘোষণা দেবে।
তিনি বলেন, যদি অতীতের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা আগের মেয়াদের তুলনায় অনেক দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং জোটের ঘোষণা দিয়েছি।
একই সংবাদ সম্মেলনে পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ বলেন, তিনি পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে সরকার গঠন করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারা যথেষ্ট আসন দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
এসময় বিলাওয়াল এবং আসিফ আলী জারদারিকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। শাহবাজ বলেন, উভয় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদে জারদারিকে যৌথ প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামানো হবে।
আরও পড়ুন>>
- প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে শাহবাজকে মনোনয়ন দিলেন নওয়াজ
- পাঞ্জাবের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম
- পিপিপি’র যেসব শর্তে আটকে রয়েছে জোট সরকারের আলোচনা
পিপিপি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে পিএমএল-এন নেতা বলেন, প্রথম দিন থেকেই মন্ত্রিত্ব চায়নি বিলওয়ালের দল।
তিনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয় এবং পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়। তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা তাদের দাবি মেনে নিচ্ছি বা তারা আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছে। তাদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। কিন্তু মধ্যবিন্দুতে পৌঁছানোই আসল রাজনৈতিক সাফল্য।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ এবং পিপিপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনার ভিত্তিতে পরে মন্ত্রিত্ব সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসময় নতুন জোট সরকারের অংশীদার হওয়ায় মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান, ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদকেও ধন্যবাদ জানান শাহবাজ শরিফ।
সূত্র: জিও নিউজ
কেএএ/