নির্বাচনের ১০ দিন পার
শরিফ-জারদারি জোটে এখনো হয়নি ‘দেওয়া-নেওয়া’র সমঝোতা
পাকিস্তানে নির্বাচন হয়েছে ১০ দিন পার হতে চলেছে। কিন্তু জোট সরকার গড়ে ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন এবং বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি। তাদের বৈঠকগুলো বারবার সিদ্ধান্তবিহীনভাবে শেষ হচ্ছে। যদিও দুই দলই দাবি করেছে, আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে।
গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয়বারের মতো বৈঠকে বসেছিল পিপিপি এবং পিএমএল-এনের যোগাযোগ ও সমন্বয় কমিটি (সিসিসি)। কিন্তু ওই বৈঠকে ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। আগামী সোমবার ফের বৈঠকে বসছে দুই দল।
বৈঠকের পরে পিএমএল-এনের পক্ষ থেকে এক সংক্ষিপ্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, উভয় পক্ষের আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। বৈঠকে একটি ‘শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকারের’ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
- পিপিপি’র যেসব শর্তে আটকে রয়েছে জোট সরকারের আলোচনা
- শাহবাজদের ৬ দলীয় জোট, কে পাবে কোন পদ?
- দ্বিতীয় ধাপে সরকারে যোগ দিতে পারে পিপিপি
এদিন পিএমএল-এনের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ইসহাক দার, সর্দার আয়াজ সাদিক, আজম নাজির তারার এবং মালিক মুহাম্মদ আহমেদ খান। পিপিপি থেকে ছিলেন সিন্ধের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ, সাঈদ গনি, কামার জামান কাইরা, নাদিম আফজাল চান এবং নবাব সানাউল্লাহ জেহরি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবারের প্রথম বৈঠকে আলোচিত প্রস্তাবগুলো মূল্যায়নের জন্য আরও সময় চেয়েছিলেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা।
মতপার্থক্য যেখানে
পিপিপি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সাংবিধানিক পদের বিনিময়ে সরকার গঠন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পিএমএল-এনকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে।
বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির দলটি ঘোষণা দিয়েছে, কেন্দ্রে সরকার গঠনে পিএমএল-এন’কে সমর্থন দিলেও তারা কোনো মন্ত্রিত্ব নেবে না।
আরও পড়ুন>>
- প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে শাহবাজকে মনোনয়ন দিলেন নওয়াজ
- পাঞ্জাবের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম
- বাবা আসিফ আলী জারদারিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চান বিলওয়াল
সূত্রগুলো পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনকে বলেছে, পিএমএল-এন সাংবিধানিক পদগুলো নিয়ে আলোচনার আগে মন্ত্রিত্ব ইস্যুতে পিপিপির মত পরিবর্তনের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু পিপিপি এখনো আগের সিদ্ধান্তে অনড়।
পিপিপির এক নেতা জানিয়েছেন, দলটি জাতীয় পরিষদের স্পিকার এবং সিনেট চেয়ারম্যানের পদ চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু পিএমএল-এন তাতে অনিচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে। তারা স্পিকারের পদটি নিজেদের কাছে রাখতে চায়।
আস্থা নেই শাহবাজদের ওপর?
পিপিপি’র ওই নেতা জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তানি পার্লামেন্টে উভয় কক্ষের শীর্ষ পদগুলো চাওয়ার কারণ, দলটি আশঙ্কা করছে, পিএমএল-এনের অধীনে পার্লামেন্ট তার ‘হারানো মর্যাদা অর্জন করতে পারবে না’।
আরও পড়ুন>>
- ১৮ প্রার্থী যত ভোটে জিতেছেন, বাতিল ভোট তার চেয়ে বেশি
- ভোট জালিয়াতি স্বীকার করে রাওয়ালপিন্ডির কমিশনারের পদত্যাগ
পিপিপি নেতা বলেন, অর্থপূর্ণ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে পিএমএল-এনের অতীত রেকর্ড ভালো নয়। এমনকি, শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিডিএম সরকারের সময়ও জোটের অংশীদারদের সঙ্গে পূর্ব আলোচনা ছাড়াই বেশ কয়েকটি আইন প্রবর্তন করেছিল পিএমএল-এন।
সূত্র: ডন
কেএএ/