ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

প্যারলে মুক্তি পেয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

প্যারলে মুক্তি পেয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাসকিন সিনাওয়াত্রা। মুক্তি পাওয়ার পর রাজধানী ব্যাংককে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। একটি পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাকে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে এক বছর সাজা ভোগ করেছেন তিনি। খবর বিবিসির।

আরও পড়ুন: কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ইমরান খানের আপিল

১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে গত বছরের আগস্টে দেশে ফেরেন ৭৪ বছর বয়সী থাসকিন সিনাওয়াত্রা। দেশে ফেরার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা। স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তাকে একরাতও কারাগারে কাটাতে হয়নি।

আদালত থাকসিনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসন ছেড়ে দেশে ফেরার পর থাইল্যান্ডের রাজা তার সাজা কমিয়ে এক বছর করেন।

সাজা কমে যাওয়া এবং একরাতও কারাগারে না কাটিয়ে হাসপাতালের বিছানায় থাকসিনের সাজা ভোগ করা নিয়ে দেশটির অনেক নাগরিক তীব্র সমালোচনা করেছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সবসময়ই বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন।

থাকসিন ছয় মাস ধরে রাজধানী ব্যাংককের পুলিশ হাসাপাতালে ছিলেন। রোববার তাকে গাড়িতে করে ওই হাসপাতাল থেকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বয়স এবং স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় করে থাকসিনকে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে নজরদারিতে রাখা হবে কি না বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো কোনো শর্ত আরোপ করা হয়েছে কি না তা জানানো হয়নি।

থাইল্যান্ডে নির্বাচিত নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে সফল নেতাদের একজন থাকসিন। ২০০৮ সালে তিনি থাইল্যান্ড ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। তার দুই বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। নির্বাসন জীবনের বেশিরভাগই তিনি লন্ডন ও দুবাইতে কাটিয়েছেন।

আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ১২০ ফুট উঁচু টাওয়ারে উঠে বসে থাকলেন স্বামী

থাকসিনের পারিবারিক দল পিউ থাই পার্টি বর্তমানে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে। দেশটির ইতিহাসে তিনিই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নিজের পুরো মেয়াদ শেষ করতে পেরেছেন।

টিটিএন